গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পুঁজি অভাবে ভালো উদ‍্যােক্তা সৃষ্টি হচ্ছে না 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় পুঁজি অভাবে ভালো উদ‍্যােক্তা সৃষ্টি হচ্ছে না। উপজেলার বেকার যুবকেরা ব‍্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ না পাওয়ার এর একটি কারণ।
উপজেলার সরকারি দপ্তরগুলো থেকেও উদ‍্যোক্তা সৃষ্টিতে তেমন কোনো আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাদের মাধ্যমে সরকারের দেওয়া সাহায্য সহযোগিতা, বিভিন্ন প্রকার ট্রেনিংগুলো সঠিক উদ‍্যোক্তারা পাচ্ছেন না? কে পাচ্ছেন সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ?
উপজেলায় বেকারের সংখ্যা বাড়লেও, সে হারে বাড়েনি কর্মসংস্থান। আর এ কারণে উপজেলায় বাড়াতে হবে প্রচুর উদ‍্যােক্তা। আগ্রহ বাড়াতে হবে নিত্য নতুন প্রকল্পের দিকে।
উপজেলার অনেক বেকার যুবক- যুবতি শখের বসে কিংবা বেকারত্বের চাপে কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ  ছাড়াই অল্প পুঁজি নিয়ে মাছ চাষ, হাসের খামার,ব্রয়লার খামার, গরুর খামার, কৃষি খামার গড়ে তুলে পুঁজি পাট্টা হারিয়ে পথে বসেছেন । কেহবা লাভের আশায় আশায় দেনা পাওনা করে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে  কোন রকমে খামার সচল রেখেছেন।
এইসব খামারিরা একটু সরকারি সহযোগিতা পেলেই ঘুঁরে দাড়াতে পারত।
পৌরসভার হরিণমাড়ী গ্রামে প্রধান ব্রয়লার খামার, বৈরিহরিণ মাড়ী গ্রামের মৃত নজির উদ্দিনের ছেলে সুমনের ব্রয়লার খামার, একই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে শাহীনের ব্রয়লার খামার বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলায় এই রকম শত শত খামার বন্ধ রয়েছে।
এদিকে হরিণমাড়ী গ্রামের মৃত খোকার ছেলে শাহীনের দুটি পুকুরে শিং, কৈ মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করে পুঁজি পাট্টা হারিয়ে বন্ধ রয়েছে। এরপর গরুর খামার ছোট পরিসরে দিয়ে সেখানেও লোকসান গুনছেন।
এছাড়া পৌরসভার হরিণমাড়ী গ্রামের প্রায় বাড়ীতেই গড়ে উঠেছে ছোট ছোট দুগ্ধ গরুর খামার। এসব খামারে দরকার সহজ শর্তে সরকারি লোন। পাশাপাশি দরকার তাদের প্রশিক্ষণ।
গত দুই মাস থেকে ঘুরছি উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার পিছনে। তাকে বলেছিলাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের মাধ্যমে সরকারের দেওয়া সহযোগিতা পেয়ে কতগুলো বেকার যুবক – যুবতি সফল হলেন, এসব সরেজমিনে দেখে নিউজ করতে, কিন্তু এই কর্মকর্তা উপজেলার একটি ইউনিয়নেও নিয়ে যেতে পারলেন না। খুবই দুঃখজনক।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.