খুলনায় সরকারি অফিস ব্যবহার করে আ’লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারনা চালানোর অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর

 

খুলনা ব্যুরো : খুলনা মেডিকেল কলেজের লেকচার গ্যালারিতে নির্বাচনী সভা করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। বৃহস্পতিবার এই সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে। এমনকি সভার আগে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অফিসিয়াল নোটিশ করে চিকিৎসক, ইন্টার্নী চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের সেই সভায় উপস্থিত থাকতে বলেন।

সরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্বাচনী সভা এবং সভায় মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, তত্ত্বাবধায়কসহ অধিকাংশ চিকিৎসক উপস্থিত থাকায় আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। শুক্রবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগটি জমা দেওয়া হয়। অভিযোগের সঙ্গে সভার নোটিশ, নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রঙিন ব্যানার এবং উপস্থিত চিকিৎসক ও নার্সদের একাংশের ছবি ও ফটোকপি জমা দেওয়া হয়।

মঞ্জুর জমা দেওয়া অভিযোগ পরে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল মেডিকেল কলেজের ১নং লেকচার গ্যালারিতে মূলত মতবিনিময় সভা আহ্বান করে স্বাধীনতা চিৎিসক পরিষদ। ওই সভার ব্যানারে লেখা ছিলো, ‘কেসিসি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেককে নৌকাপ্রতীকে জয়যুক্ত করার লক্ষ্য মতবিনিময় সভা’। ওই সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, তালুকদার আবদুল খালেক ও সাংসদ মিজানুর রহমান মিজান উপস্থিত ছিলেন।

সভার আগে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ টি এম এম মোর্শেদ স্বাক্ষর করা এক নোটিশে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, ইটার্নী চিকিৎসক, নার্সিং স্টাফ ও কর্মচারীদের ২৬ এপ্রিল বেলা ১২টায় মেডিকেল কলেজের লেকচার গ্যালারিতে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করেন।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণবিধি মালা ৬ বিধিতে বলা হয়েছে, ‘কোনো প্রতিদ্বন্দি¦ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার স্থান হিসেবে কোনো সরকারি কার্যালয় অথবা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষকে ব্যবহার করিতে পারিবেন না।’ ২২ বিধিতে বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না’। এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ ইউনুচ আলী বলেন, অভিযোগটি দেখে, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ টি এম এম মোর্শেদ বলেন, ‘মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ নোটিশটি দিতে বলেছেন। আমি ভেবেছিলাম নির্বাচন বিষয়ে আমাদের কি কি দায়িত্ব পালন করতে হবে- সেই নিয়ে আলোচনা সভা’। সেজন্যই নোটিশ দিয়েছি। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, আমরা কোনো লিখিত নোটিশ দেইনি। নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.