খুলনায় দুই মেয়রপ্রার্থীর সাথে নাগরিক সংলাপ

 

খুলনা ব্যুরো : ‘শান্তিতে বিজয়’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে খুলনায় অনুষ্ঠিত হলো প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দলের মেয়রপ্রার্থীর সাথে নাগরিক সংলাপ। নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে রোববার সকালে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এ সংলাপের আয়োজন করে। নাগরিক সংলাপে অংশ নিয়ে আওয়ামীলীগের মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ও বিএনপির মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু উভয়ই নাগরিক ভাবনার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তারা দু’জনই নগরকে জলাবদ্ধতা মুক্ত, মাদকমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সংলাপে স্বাগত বক্তৃতা করেন, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল’র চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক। সংলাপ পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন, সংস্থার পরিচালক(কার্যক্রম) আমিনুল এহসান। সংলাপে খুলনার নাগরিকদের পক্ষ থেকে ছয়টি দলে বিভক্ত হয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা, মাদক, বিনোদন, জানযট, স্বাস্থ্য এবং সনদ ও অন্যান্য সার্ভিস সম্পর্কে সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।

এসব সমস্যা সম্পর্কে বক্তৃতা দিতে গিয়ে আওয়ামীলীগের মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, তিনি যখন মেয়র ছিলেন তখন ২২ খাল অবৈধ দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেন। যারা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় ছিল তাদের লোকজনই খালগুলো দখল করে রেখেছে। তার দায়িত্ব পালনকালে জলিল সরনি সম্প্রসারণ, বিজিবি ক্যাম্পের সামনের রাস্তা সম্প্রসারণ, পিকচার প্যালেস মোড়ের রাস্তা প্রসস্তকরণসহ অনেক কাজ করা হয়েছে।

কেডিএ হবার পরই শহরের অবস্থা খারাপ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাস্তা না থাকলেও বহুতল বিশিষ্ট ভবন তৈরির অনুমোদন দেয় কেডিএ। এজন্য নগর উন্নয়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি নির্বাচিত হলে প্রতিটি ওয়ার্ডে মাদকবিরোধী কমিটি গঠন করে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।

বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে কেসিসির সম্প্রসারিত এলাকাকে ঘিরে এখনও পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।যাতে অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে না পারে। ১৯৯৩/৯৪ সালে শহর রক্ষা বাঁধ তৈরির মধ্যদিয়ে শহরের জলাবদ্ধতা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় জলাবদ্ধতা আরও বাড়ছে।

তবে এজন্য সকলের আন্তরিকতা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারা ২২ খাল দখল করে রেখেছে তা সবাই জানে। এই শহরের মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের পৃষ্ঠপোষক কারা সেটিও ইতোমধ্যে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.