ক্ষমার বাইরে ইন্দিরা গান্ধীও ছিলেন না

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: গত নভেম্বর মাস থেকে তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে বসেন কৃষক সমাজ। পরে প্রবল আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক প্রকার বাধ্য হয়েই কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেন। এজন্য তিনি দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, কোনও অবস্থাতেই দেশ মোদীজীকে ক্ষমা করবেনা, দেশ একদিন না একদিন আত্মমর্যাদার জন্য রাজনৈতিক ভাবে এর মোকাবিলা করবেই। ঠিক যেমন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেও দেশ ক্ষমা করেনি তাঁর ‘জরুরী অবস্থার ‘মতো খামখেয়ালি পদক্ষেপের জন্য।
গতকাল বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে সুশীল সমাজের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমনই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সুতোয় গেঁথেছেন কংগ্রেস ও বিজেপির অত্যাচারকে। উঠে এসেছে জয়প্রকাশ নারায়ণের প্রসঙ্গ।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, তিনি তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান এই উদাহরণ গুলোতে স্পষ্ট করতে চাইছেন। অর্থাত বিজেপি যে আগামীদিনের জন্য তাঁর প্রবল প্রতিপক্ষ অন্যদিকে কংগ্রেসও তাঁর প্রচ্ছন্ন বিরোধী দল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, আগমী পাঁচ রাজ্যে বিধান সভার ভোট তারপর কৃষিবিল নিয়ে এখনও কৃষকেরা পুরোপুরি আন্দোলন তুলে নেন নি। বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ওরা খুব নিরাপদে নেই। আমাদের সকলের মিলিত প্রচেস্টাই পারে মোদী মুক্ত দেশ গড়তে। সেই ব্যাপারে তাঁকে খুব আত্মপ্রত্যয়ী দেখা যাচ্ছে। তিনি তাঁর এই উপলব্ধি মুম্বইতে এসে সুশীল সমাজের কাছে তুলে ধরতে চাইছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.