কোটচাঁদপুরে সাবেক এক পুলিশ কনষ্টোবলের করা মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:  সাবেক পুলিশ কনষ্টোবল তাজুল ইসলাম ও তার মেয়ের করা একাধিক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার বাজার পাড়ার ফিরোজ আলম সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

এ সংবাদ সম্মেলনে মিথ্য মামলা থেকে বাঁচতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। কোটচাঁদপুর পৌর পাঠাগার অডিটোরিয়ামে আজ শনিবার সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে ফিরোজ আলমের সাথে উপস্থিত ছিলেন তার ভাই জুলফিক্কার আলি ও পৌর কাউন্সিলর জাফর ইকবাল শান্তি। ফিরোজ আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন, কোটচাঁদপুর শহরে বসবাসরত সদ্য চাকুরী থেকে অবসর প্রাপ্ত কনষ্টোবল তাজুল ইসলামের মেয়ে নিতুর সাথে আমার ছেলে রাব্বি আলম ডিজু’র বিয়ে হয় প্রায় ২ বছর আগে। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই আমার বৌমা নিতু তার স্বামীর ডিজু’র সাথে খারাপ ব্যবহারসহ অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে। ৫/৭ মাস আগে থেকে এ পর্যন্ত কয়েক দফা মারও খেয়েছে আমার ছেলে ডিজু বৌমা’র নিতু’র হাতে। কিন্তু বাজারের মধ্যে বাড়ী বিধায় ইজ্জত যাওয়ার ভয়ে টু শব্দটি পর্যন্ত আমরা করিনি। একাধিকবার বৌমার পিতা মাতাকে বিষয়টি বললেও তারা তাদের মেয়েকে কিছু বলতেনা।

আমরা তার শ্বশুর শ্বাশুড়ি হয়েও বৌমার অকথ্য ভাষার গালাগালি থেকে আমরাও রেহায় পেতাম না। এমনকি আমাদেরকেও মারতে যেত। তার খামখেয়ালীপনা বায়না পূরনে ব্যর্থ হলেই সংসারে চরম অশান্তি সৃষ্টি করতো। যা কারুরই সহ্য করার মত নয়। তারপরও আমার কোন মেয়ে সন্তান না থাকায় বৌমাকে মেয়ের মত জানতাম এবং বোঝাতাম। আমি বা আমার ছেলে কখনোই তার গহনা, টাকা-পয়সা কাপড়- চোপড়ে অভাব রাখিনি। তারপরও বৌমা নিতু সংসারে অশান্তি ঘটিয়ে সে পিত্রালয়ে চলে যেত। আবার তার ইচ্ছমত সে বাড়িতে আসত। হঠাৎ গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালে বৌমা তার পিত্রালয় থেকে তার মাকে সাথে এনে তার ঘরের মূল্যবান জিনিষ পত্র বের করে নিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে যায়।

এ সময় আমার ছেলে ডিজু চাকুরী জনিত কারণে ঢাকায় অবস্থান করছিল। ফিরোজ আলম আরো বলেন, এ ঘটনার পর বাধ্য হয়ে আমার ছেলে ডিজু হয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর তারিখে কাবিন ও খোরপোষের দাবীর এক লাখ বিশ হাজার টাকাসহ পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে তালাক নামা পাঠিয়ে দেয়।

ফিরোজ আলমের অভিযোগ, সাবেক পুলিশ কনষ্টোবল তাজুল ইসলাম তার মেয়েকে নিতুকে বাদী করে ১৫ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ আদালতে আমি ও আমার ছেলে ডিজুসহ ৭জনের বিরুদ্ধে নারী নির্যতন আইনে মামলা করে। অথচ মামলা করার পরের দিন ১৬ সেপ্টেম্বর পোষ্ট অফিস থেকে তারা কাবিন ও খোরপোষের টাকা তুলে নেয়।
ফিরোজ আলম বলেন, বর্তমানে আমরা ৬জন নারী নির্যাতন মামলায় জামিন পেলেও ছেলে ডিজু জেলে হাজতে রয়েছে। পরে খুলনা আদালতে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তাজুল ইসলাম।
ফিরোজ আলম দাবী করেন, ঝিনাইদহ ও খুলনা আদালতে করা দুটি অভিযোগে তাদের দুই জায়গার ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়াও তিনি বলেন, তাজুল ইসলাম হুমকী দিচ্ছেন, আমার ছেলে ডিজু জেল থেকে বের হলে তাকে মাদক দিয়ে মামলার ব্যবস্থা করে জেলে ঢোকাবেন তিনি।
তাছাড়া অবৈধ উপায়ে স্ট্যাম্প তৈরী করে আরো মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন।
এ ব্যপারে তাজুল ইসলামের সাথে কথা বলতে একাধিক বার মোবাইলে রিং দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি মো: আনোয়ার জাহিদ জামান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.