নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : খুলনা সিটি কর্পোরেশনকে স্বাধীন ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ‘সিটি গভর্ণমেন্ট’ ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ ৩১ দফা ইশতেহার দিয়েছেন কেসিসি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মেয়রপ্রার্থী আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। খুলনা প্রেসক্লাবে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে কেসিসিতে কোন টেন্ডারবাজি হবে না, নগরীতে কোন মাদক ব্যবসা থাকবে না। ইশতেহার ঘোষণাকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক আরও বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে সকল কাজে স্বচ্ছতা থাকবে। স্বচ্ছতার জন্যই তিনি অনেকের কাছে অপ্রিয় ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, গত পাঁচ বছরে খুলনার উন্নয়ন থমকে গেছে। হাদিস পার্কের অবশিষ্ট কাজ, ময়ূর নদী ও লিনিয়ার পার্কের উন্নয়ন কাজে অনিয়ম হয়েছে। এগুলো তদন্ত করা হবে। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) ছিল একটি দেনাগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান। নিজস্ব আয়ের তেমন কোন উৎস ছিল না। দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন উন্নয়ন খাত ও আয়ের উৎস সৃষ্টি করে ৫ বছরে সিটি কর্পোরেশন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মতো সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার সব ধরণের চেষ্টা করেছি। তার ফলও পাওয়া গেছে। কেসিসির রাজস্ব আদায় ও আয় অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
তালুকদার খালেক বলেন, আমার দায়িত্ব গ্রহণকালে কেসিসিতে মহাজোট সরকারে আমলে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে বিভিন্ন খাতে প্রায় ২শ’ ৭৫ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হয়েছে। আমার পূর্বের দেয়া নির্বাচনী ইশতেহারের অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। বিশেষ করে নগরীর রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বেশ সাফল্য অর্জিত হয়েছিল। ২০১৩ সালের নির্বাচনে আমি নির্বাচিত হতে পারিনি তাই আমার অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি পুরোটা রক্ষা করার সুযোগ ছিল না।
সংবাদ সম্মেলনে ১৫ মে’র নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করে খালেক খুলনা মহানগরীকে পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক নগরী গড়ে তোলার জন্য ৩১ দফার কর্মপরিকল্পনা প্রতিশ্রুতি ঘোষনা করেন। এসময় প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, প্রধান সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কাজি আমিনুল হক, বিসিবি পরিচালক শেখ সোহেল, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. সোহরাব আলী সানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শেখ বাহারুল আলম, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, নগর যুবলীগের আহ্বায়ক এ্যাড. আনিসুর রহমান পপলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তালুকদার আ: খালেকের ৩১ দফাঃ
১. সিটি গভর্ণমেন্ট ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ: খুলনা সিটি কর্পোরেশনকে স্বাধীন ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ‘সিটি গভর্ণমেন্ট’ ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ নেব। এর ফলে কেসিসিকে নিজের পায়ে দাড়িয়ে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ নগরীর প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ ও কর্তত্ব প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। পরিকল্পনা গ্রহণে পরিকল্পনা গ্রহণে
২. ‘পরামর্শক কমিটি’ গঠন: নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে এবং বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি, ব্যবসায়ী সংগঠন, খুলনা প্রেসক্লাব, আইনজীবী সমিতি, বিএমএ, শিক্ষক, নারী, পাটকল শ্রমিক, বেসরক্রাী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ‘পরামর্শক কমিটি’ গঠন করবো। এই কমিটির পরামর্শ নিয়ে খুলনা মহানগরীর উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। যা কেসিসি’র সাধারণ সভায় অনুমোদন কের পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।
৩. পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন: ‘খুলনা ওয়াসা’র সাথে সমন্বয় করে সুপেয় পানি সংকট নিরসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করার পাশাপাশি পয়ঃনিষ্কাসন ব্যবস্থার আরও উন্নতি ঘটানো হবে। বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে যাওয়ার জন্য ড্রেন ও খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করে প্রয়্জোনীয় সংস্কারের মাধ্যমে উপযোগী করে তোলা হবে।
৪. স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন: কেসিসি’র স্ব্স্থ্যাসেবায় অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় লোকবল বৃদ্ধি করে অভিজ্ঞ চিকিৎসক, বেসরকারী সংগঠন, নাগরিক ও বিত্তবান ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শক্রমে খুলনা শিশু হাসপাতালের অভিজ্ঞতার আলোকে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেব্রা মানোন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। একবই সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কমিউনিটি হাসপাতাল গড়ে তোলাও উদ্যোগ নেয়া হবে। নগরীতে প্রয়োজনীয় স্থান সমূহে আধুনিক পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার পাশাপাশি যাত্রী ছাউনিও নির্মাণ করা হবে।
৫. হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়ে সেবার মান বৃদ্ধি: হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়ে নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া বিদ্যমান হোল্ডিং ট্যাক্স এবং ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স ফি যুক্তিসঙ্গত ও সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে।
৬. কবরস্থান ও শ্মশান ঘাটের উন্নয়ন: খুলনা মহানগরীর কবরস্থান ও শ্মশান ঘাটগুলোর উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিরালা, টুটপাড়া, বসুপাড়া ও গোয়ালখালি কবরস্থানের মতো অন্যগুলোও প্রয়োনীয় সংস্কার ও উন্নয়স করা হবে। এছাড়া নগরীর উপযুক্ত স্থানে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের জন্য একটি আলাদা কবরস্থান তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হবে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, কবরস্থান ও শ্মশান ঘাটের উন্নয়নে ধর্মীয় নেতাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে ধর্মীয় শিক্ষার কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।
৭. মাদকমুক্ত নগর গড়ে তোলা: খুলনাকে মাদকমুক্ত নগর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন, যুব সংগঠন, ক্লাব ও প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় চিকিৎসার মাধ্যমে মাদকসেবীদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেব এবং মাদকবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবো।
৮. নতুন আয়ের উৎস সৃষ্টি: নগরীতে আরও আধুনিক বিপনীকেন্দ্র ও মার্কেট তৈরি এবং এঅঞ্চলের যেসব মানুষ দেশের বাইরে আছেন- তাদের সাথে যোগাযোগ করে খুলনাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করাসহ নতুন আয়ের উৎস সৃষ্টিতে সচেষ্ট থাকবো।
৯. ‘সিটি সেন্টার’ গড়ে তোলা: নগরীর শিববাড়ির মোড়ে অবস্থিত পাবলিক হলের জায়গায় একটি অত্যাধুনিক বহুতল বিশিষ্ট সিটি সেন্টার গড়ে তোলা হবে। যার উদ্যোগে আমি আমার দায়িত্ব পালনকালে নিয়েছিলাম।
১০. বিনামূল্যে তথ্য-প্রযুক্তি ববহারের সুযোগ সৃষ্টি: নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রেসহ বিভিন্ন স্থান ওয়াইফাই জোন ঘোষনা করে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া হবে। এছাড়া শিক্ষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এর আওতায় আনা হবে।
১১. গুরুত্ব বিবেচনা করে সড়ক উন্নয়ন: কোন বিশেষ বিবেচনায় নয়- গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে নগরীর সড়ক উন্নয়ন ও মেরামত করা হবে। খানজাহান আলী সেতুর সাথে নতুন সংযোগ সড়ক নিমার্ণে সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় নতুন রাস্তা নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। উপযুক্ত আবহাওয়া বিবেচনা করে সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজে হাত দেয়া হবে। এসব ক্ষেত্রে নির্মাণ কাজের গুণগতমান অবশ্যই বজায় রাখা হবে। পাওয়ার হাউজ মোড় থেকে শেরে বাংলা রোডসহ জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত চার লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
১২. পার্ক-উদ্যান নির্মাণ ও বনায়ন সৃষ্টি: বর্তমান নগরীতে বিদ্যমান পার্ক ও উদ্যানগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়ন করা হবে। এছাড়া উন্মুক্ত সুবিধাজনক স্থানে একটি বড় পার্ক, লেডিস পার্ক ও ২টি শিশু পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। নদী সংলগ্ন স্থানে ভ্রমণের জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। নগরীর দক্ষিণপ্রান্তেহ উপযুক্ত স্থানে বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে বনায়ন সৃষ্টি করে পরিবেশের উন্নয়ন ঘটানো হবে। এছাড়া ময়ুর নদীসহ নগরীর ২২টি খাল খনন ও সংস্কার করে এর পাশে বনায়নের মাধ্যমে মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।
১৩. নগরীর সাংসস্কৃতিক কর্মকান্ন্ডের উন্নয়নের জন্য হল ও নাট্যমঞ্চ তৈরি করা হবে। পাশাপাশি নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে সমন্বয় ঘটানো এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে বার্ষিক সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া উৎসব আয়োজনের জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করা হবে। সকল ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে দলমত নির্বিশেষে বিশিষ্টজনদের নিয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে উৎসবের আয়োজন করা হবে। ওয়ার্ড পর্যায়ে জাতীয় দিবসগুলো গুরুত্বের সাথে পালন করা হবে।
১৪. মুকিক্তযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে রাস্তার নামকরণ: বিশিষ্ট ব্যক্তি, গগুনীজন ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নগরীর বিভিন্ন রাস্তার নামকরণ করা হবে।
১৫. প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্রীড়া উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ: নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের ক্রীড়া উন্নয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। ফুটবল ও কিকেট খেলার জন্য উপযুক্ত মাঠ তৈরি করা হবে। ্এছাড়া মেয়র গোল্ড কাপ ফুটবল ও ক্রিকেট প্রতিযোগিতা প্রবর্তন করা হবে।
১৬. সোলার পার্ক আধুনিকায়ন: নগরীর সোনাডাঙ্গায় অবস্থিত সোলার পার্ককে আধুনিকায়ন করে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হবে।
১৭. বধ্যমূমিগুলোর স্মৃতি সংরক্ষণ: শিরোমণিসহ নগরীর চরেরহাট, গোয়ালখালী, ফরেস্ট ঘাটসহ বিভিন্ন বধ্যভূমির স্মৃতি সংরক্ষণে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।
১৮. কেসিসিকে দুর্নীতিমুক্ত করা: কেসিসিকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য আমার উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হবে। কেসিসি’র স্বাস্থ্যসেবা খাত ও বিভিন্ন কাজের দরপত্র গ্রহণ ও কার্যাদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম -প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে এবং ুসর্বক্ষেত্রে থাকবে স্বচ্ছতা ও জবারদিহিতা।
১৯. যাতায়াত ও ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন: নগর পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং পরিধি বৃদ্ধি করা হবে যাতে স্বল্প আয়ের মানুষ চলাচলের ক্ষেত্রে সুবিধা ভোগ করতে পারে। ভৈরব ও রূপসা নদীতে চলাচলের জন্য ওয়াটার বাস চালু করার উদ্যোগ নেয়া হবে। পাশাপাশি নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে নগরীতে সড়ক বাতির উন্নয়নসহ আধুনিক ট্রাফিক ববস্থা গড়ে তোলা হবে। এছাড়া ইজিবাইক বা বাটারীচালিত রিক্সার লাইসেন্স প্রদান ও হকারদের পুনর্বাসন করা হবে।
২০. শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন: নগরীর শিক।ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে কেসিসি’র অধীনে আরও শিক।ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। এছাড়া মসজিদভিত্তিক বিদ্যমান ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা হবে। অন্যাণ ধর্মীয় শিক।ষা প্রতিষ্ঠানেরও উন্নয়ন করা হবে।
২১. নারী উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা প্রদান: মহানগরীর উন্নয়ন কর্মকান্ডে নারীদের সম্পৃক্ত করা ও তাদের অধিকার পতিষ্ঠায় কেসিসি’র পক্ষ থকে সবরকম পদক্ষেপ নেয়া ও সহযোগিতা করা হবে।
২২. সুইমিং পুল স্থাপন: শিক্ষার্থী ও ছোট ছেলো-মেয়েদের জন কেসিসি’র উদ্যোগে নগরীর উপযুক্ত স্থানে একটি সুইমিং পুল তৈরি করা হবে- যাতে তারা সেখানে স্বাচ্ছন্দে সাঁতার শিখতে পারে।
২৩. বয়স্ক ও প্রতিবন্ধিদের সহায়তা প্রদান: বয়স্ক ও প্রতিবন্ধিদের সামাজিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য কেসিসি’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। হতদরিদ্র, ছিন্নমূল, ভবঘুরে ভিখারীদের পুনর্বাসনের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। যুবক ও যুব মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষে বিভিন্ন উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রবীন নাগরিকদের জন্য কেসিসি’র পক্ষ থেকে অবসর যাপনের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৪. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কার্যকর ভ’মিকা গ্রহণ: নগরীতে বসবাসকারী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে পারস্পারিক সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ববোধ, সম্প্রীতি রক্ষা ও বিরাজমান সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য কেসিসি কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করবে।
২৫. নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনে আরও উদ্যোগ গ্রহণ: খুলনা মহানগরীর সড়ক অবকাঠামো দৃষ্টিনন্দন করে তোলার জন্য আরও উদ্যোগ ও পরিকল্পনা নেয়া হবে। এই লক্ষে বিভিন্ন সড়ক দ্বীপ, রোড, ডিভাইডার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিবেশবান্ধব সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলে নতুন করে সাজানো হবে।
২৬. ৩টি নতুন থানা পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা: খুলনা মহানগরীর আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে লবণচরা, হরিণটানা ও আড়ংঘাটা এলাকায় স্থাপিত ৩টি নতুন থানা পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশকে সবরকম সহযোগিাতা করা হবে।
২৭. আধুনিক কসাইখানা নির্মাণ: নগরীর বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র পশু জবাই বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে এবং পরিবেশবান্ধব আধুনিক কসাইখানা নির্মাণ করা হবে।
২৮. খালিশপুর ও রূপসা শিল্পাঞ্জলের উন্নয়ন: বন্ধ হওয়া কল-কারখানা চালু ও নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পাশাপাশি খালিশপুর ও রূপসা শিল্পাঞ্চলকে কর্মচঞ্চল এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে কেসিসি সবরকম সহযোগিতা করবে।
২৯. ওয়াসা, কেডিএ, রেলওয়ে, টেলি কমিউনিকেশন ও বিদ্যুৎ পরিসেবা উন্নয়ন: ওয়াসা, কেডিএ, রেলওয়ে, টেলি কমিউনিকেশন ও বিদ্যুৎ পরিসেবা প্রদানকারী সংস্থাসমূহে সিটি কর্পোরেশনের নেতৃত্বে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে রেগুলেটরি বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
৩০. কেসিসিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা: সিটিজেন চার্টার বা নাগরিক সনদ ব্যবস্থা জোরদার করে কেসিসি’র সার্বিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আরও নিশ্চিত করা হবে। একই সাথে কেসিসিকে সত্যিকারভাবে জনগণের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
৩১. খুলনা মহানগরীর সম্প্রসারণ: সিটি কর্পোরেশনের এলাকা সম্প্রসারণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে খুলনা মহানগরীকে আধুনিক ও পরিকল্পিত ‘তিলোত্তমা নগরী’ হিসেবে গড়ে তুলতে সবরকম উদ্যোগ নেয়া হবে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.