কেসিসির বিএনপি মেয়রপ্রার্থী মঞ্জুর ১৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা: খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ও ২০ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু সবুজ ও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে ১৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর কেডিঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে তিনি এ ইশতেহার দেন।

এসময় কেসিসির বর্তমান মেয়র মনিরুজ্জামান মনিকে নিয়ে আওয়ামীলীগ মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে মঞ্জু বলেন, তালুকদার আব্দুল খালেক যখন মেয়র ছিলেন তার রেখে যাওয়া ৮০ কোটি টাকা খরচ করেছেন তারই দলের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মেয়র আজমল আহমেদ তপন। সরকার টাকা না দিলেও এডিবি থেকে ৪০ কোটি টাকা এনে বিগত পাঁচ বছরে খুলনার উন্নয়নে খরচ করেছেন বর্তমান মেয়র মনি।

মঞ্জুর ইশতেহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি এমন কোন স্বপ্ন দেখাননি যা সরকার টাকা না দিলেও বাস্তবায়ন করা যাবে না। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে কেসিসিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হবে।

ইশতেহার ঘোষণাকালে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মঞ্জু বলেন, দেশের এক ভয়াবহ ক্রান্তিকালে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে- যখন একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন ব্যবস্থায় জনগণের স্বাভাবিক জীবন-যাপন মারাত্মক ভাবে বিপর্যস্থ- জনগণের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই- বেপরোয়া গুম-খুন, হামলা-মামলা, লুটপাট, নিয়োগ বাণিজ্য, দলবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, নারীধর্ষণ ইত্যাদির কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্বিসহ দুঃখ, কষ্ট ও হতাশা।

চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লাগামহীন অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ আজ নিদারুণ অসহায় ও দিশেহারা। ব্যাংক ও আর্থিক সেক্টরে ব্যাপক লুটপাট, উন্নয়ন প্রকল্পের নামে রাষ্টীয় অর্থ লোপাটসহ বিভিন্ন স্তরে সীমাহীন দুর্ণীতি ও অনিয়মে দেশ ছেয়ে গেছে। বাক, ব্যক্তি ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা দারুনভাবে বাধাগ্রস্থ।

ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন থেকে জনগণ চরমভাবে বঞ্চিত। মামলার জট, দীর্ঘসূত্রিতা ও আইনী জটিলতায় সাধারণ জনগণ অহেতুক হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার। বিচার ব্যবস্থা ও আইন-আদালত সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তি ও বিশেষ গোষ্ঠীর পছন্দ ও ইচ্ছামাফিক পরিচালিত। এছাড়াও নানাবিধ হুমকি-ধাম্কি, ভয়-ভীতি, প্রলোভন ও অবৈধ টাকার উম্মত্ত ছড়াছড়িতে সামাজিক সকল পরিবেশ আজ নোংরা ও বিষাক্ত হয়ে পড়েছে।

দেশব্যাপী এহেন দুঃসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতিপর্ব এগিয়ে নিয়ে যাওয়া খুবই কষ্টকর ও দুরূহ হয়ে পড়েছে। এই দুর্বিসহ প্রতিকূল পরিসরে বিএনপি ও ২০ দলসহ জনগণের সচেতন অংশ- যারা প্রতিবাদ ও প্রতিকারে উদ্যোগী- তাদের উপর নেমে এসেছে অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতন-হয়রানি।

এতদ্সত্বেও ন্যায়ের স্বার্থে ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপক্ষে তাদের আন্দোলন এবং জনগনের সমর্থন ও সহযোগিতায় ক্রমান্বয়ে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে। জনগণের সকল ন্যায্য দাবীর পক্ষে এবং অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে কাঙ্খিত বিজয় একদিন হবেই হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ইশতেহার ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জেলা সভাপতি এ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলান সাখাওয়াত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ইমরান হোসাইন, বিজেপি সভাপতি এ্যাড. লতিফুর রহমান লাবু, খেলাতফ মজলিসের নগর সভাপতি মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, জেপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, পিপলস লীগের সভাপতি ডাঃ সৈয়দ আফতাব হোসেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, শেখ মুজিবর রহমান, রবিউল ইসলাম রবি, আমীর এজাজ খান, অধ্যাপক ডাঃ গাজী আব্দুল হক, আলী রেজা বাবু, মোল্লা আবুল কাশেম, জলিল খান কালাম, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম, শাহজালাল বাবলু, খান আলী মুনসুর, রেহানা আক্তার, স ম আব্দুর রহমান, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন সেন্টু, জামায়াতের এ্যাড. শাহ আলম ও খান গোলাম রসুল, বিএনপির ফখরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, খান জুলফিকার আলী জুলু, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, আবু হোসেন বাবু, শেখ আমজাদ হোসেন, নজরুল ইসলাম বাবু, শফিকুল আলম তুহিন, মেহেদী হাসান দীপু, মহিবুজ্জামান কচি, আজিজুল হাসান দুলু, আব্দুর রহিম বক্স দুদু, আশরাফুল আলম নান্নু, আজিজা খানম এলিজা, শেখ সাদী, উজ্জল কুমার সাহা, মোল্লা মোশরাফ হোসেন মফিজ, মেজবাউল আলম, এ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, একরামুল হক হেলাল, হাসানুর রশিদ মিরাজ, খান ইসমাইল হোসেন, ওহেদুজ্জামান রানা, মোল্লা সাইফুল রহমান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, শামসুজ্জামান চঞ্চল, তৈয়েবুর রহমান, আতাউর রহমান রনু , এ্যাড.তছলিমা খাতুন ছন্দা, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, শরিফুল ইসলাম বাবু, হেলাল আহম্মেদ সুমন, গোলাম মোস্তফা তুহিন প্রমুখ।

মঞ্জুর ১৯ দফা ইশতেহার ঃ

১। মহানগরে নাগরিক শাসন প্রতিষ্ঠা ঃ
খুলনা মহানগরীতে নাগরিক শাসন প্রতিষ্ঠা করবার আকাঙ্খা আমার দীর্ঘকালীন। এই নাগরিক শাসনের মূল বিষয় হলো নাগরিকদের ইচ্ছায় সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা। আমি খুলনা সিটি কর্পোরেশনকে এরকম একটি ‘নাগরিক শাসন’ ভিত্তিক জবাবদিহিমূলক, গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে আপনাদের আন্তরিক সমর্থন ও রায় প্রত্যাশা করছি।

২। নাগরিক পরিকল্পনার প্রবর্তন ঃ
আমি দল-মত, জাতি-ধর্ম ও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে খুলনা মহানগরে বসবাসরত অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে একটি ‘পরামর্শক পরিষদ’ তৈরি করব। এই পরামর্শক পরিষদের সাহায্যে খুলনা মহানগরীর উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি নাগরিক পরিকল্পনা তৈরি করব- যা সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ সভা কর্তৃক অনুমোদন স্বাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হবে। আমি বিশ্বাস করি, নাগরিকদের সুচিন্তিত পরামর্শে রচিত পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে খুলনা সিটি কর্পোরেশন সত্যিকার অর্থেই পরিপূর্ণভাবে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিমুক্ত একটি আদর্শ সেবামূলক নাগরিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

৩। নাগরিক মর্যাদা ও সম্মান সংরক্ষণ এবং গুনীজন সম্মাননাঃ 
সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের পৌর করের অর্থে কেসিসি’র কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ কারণে নাগরিকদের ব্যক্তিসম্মান ও মর্যাদা সুরক্ষা করে তাদের যথাযথ সেবা প্রদানের পরিবেশ সৃষ্টিতে আমি যতœবান থাকব। সেবকের ভূমিকা নিয়ে আমি কাজ করব। আমি নির্বাচিত হলে কেসিসির পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষা, শিল্প-সাহিত্য, গণমাধ্যম, ক্রীড়াসহ জ্ঞান ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা, অবদান ও কৃতিত্বের জন্য খুলনা মহানগরস্থ যোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এবং সর্বোচ্চ হোল্ডিং ট্যাক্স দাতাকে উপযুক্ত সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

৪। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহনশীল শহর হিসেবে গড়ে তোলা ঃ
খুলনা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ঝুঁকিপূর্ণ শহরগুলির মধ্যে অন্যতম। প্রতিনিয়ত এতদসংক্রান্ত দুর্যোগের সম্মুখিন হতে হয় আমাদের এই শহরকে। আমরা খুলনাকে এই ঝুঁকি থেকে মুক্ত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আপনাদের সহায়তায় খুলনাকে অন্যতম ঈষরসধঃব ৎবংরষরবহঃ নগরী হিসেবে গড়ে তুলব ইনশাল্লাহ।

৫। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য সংরক্ষণ ঃ
আমাদের ঐতিহ্যবাহী খুলনা মহানগরীতে সম্প্রদায়গত সম্প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্বের এক চমৎকার পরিবেশ বিরাজমান। এই মহানগরীতে বিভিন্ন ধরণের মানুষ শতবর্ষ যাবত স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পেলে সকল ধর্মের ও বর্ণের মানুষদের মধ্যে বিরাজমান এই সম্প্রীতিকর পরিবেশ আরো উন্নয়নে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাব। অবহেলিত ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠী বিশেষ করে সুইপার (ডোম), ঋষি, তৃতীয়লিঙ্গসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও কর্মসংস্থানসহ সামাজিক ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়ে অর্থবহ ভূমিকা পালনের জন্য আমি উদ্যোগী হবো।

৬। শিশু-বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সহায়ক পরিকল্পনা 
খুলনা মহানগরীতে ব্যাপক সংখ্যক অসহায় বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছেন। এই মানুষদের সিটি কর্পোরেশন ও সমাজের সক্ষম পর্যায় থেকে সহযোগিতা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে দুঃস্থ বয়স্ক নারী-পুরুষ ও প্রতিবন্ধীদের অনুকূলে সামাজিক সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদানের চেষ্টা করব।
অসহায় শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষার পাশাপাশি তাদেরকে সুস্থ ও সবলভাবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

৭। মাদকবিরোধী খুলনা গড়ার অংগীকার ঃ
মাদক সমাজকে নানাভাবে কলুষিত করে বিভিন্ন সংকটের জন্ম দিচ্ছে। যুব সমাজকে ধ্বংসের পথ থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন যুব সংগঠন, ক্লাব ও এনজিওদের সহযোগিতায় মাদকসেবীদের নিরাময়ের জন্য চিকিৎসা সহায়তাসহ মাদক বিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলব। আশা করছি, মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার সকল সচেতন নগরবাসী ও প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় আমরা খুলনায় মাদক বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হব।

৮। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা প্রদান ঃ
আমি সিটি কর্পোরেশন পরিচালনার দায়িত্ব পেলে মহানগরীর উন্নয়ন কর্মকান্ডে নারীর স্বার্থ সংরক্ষণে তৎপর থাকব। নারীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে চলাচলের পরিবেশ সৃষ্টিতে বিশেষভাবে সচেষ্ট থাকব। নগরীর উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করব।

৯। নগরবাসীর স্বাস্থ্য উন্নয়ন ঃ
সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য পরিসেবা কার্যক্রম যথাযথভাবে নিষ্পন্ন করার জন্য এই খাতে সিটি কর্পোরেশনের বরাদ্দ, লোকবল ও সক্ষমতা নগরবাসীর সামনে তুলে ধরব।
কেসিসি’র সাথে নগরবাসী যদি আমাদের প্রিয় মহানগরী খুলনার জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় অংশ নিতে পারেন তাহলে সরকারি বরাদ্দ যাই থাকুক না কেন, খুলনা মহানগরীর জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কাজ দেশের মধ্যে বিশেষ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সিটি কর্পোরেশনের এ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা বাড়ানো হবে এবং নামমাত্র ভাড়ায় সেবা প্রদান করা হবে।

১০। মহানগরীতে পার্ক, উদ্যান ও বৃক্ষ সংরক্ষণ ঃ
মেয়র নির্বাচিত হলে ক্লাব, যুব সংগঠন ও সমাজসেবী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় “বৃক্ষরোপন অভিযান” শুরু করব। এছাড়া নগরবাসীর বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে একাধিক আধুনিক মানের পার্ক ও উদ্যান গড়ে তোলার এবং বিরল প্রজাতির বৃক্ষ সংরক্ষণে নাগরিকদেরকে উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচী গ্রহণ করব। এবং এর মাধ্যমে খুলনা মহানগরী প্রাচীন সুনাম “সবুজ নগরী এৎববহ কযঁষহধ” ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব।
আমি অঙ্গীকার করছি যে, শিক্ষা, ক্রীড়া ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান নিজ মাঠে বা পতিত জমিতে বৃক্ষ রোপনসহ বনায়নের উদ্যোগ নিলে তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সংস্কার বা উন্নয়ন কার্যক্রমে সিটি কর্পোরেশন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহযোগিতা করবে। কোন বাড়ীর আঙ্গীনা বা ছাদে বৃক্ষ রোপন/ বনায়নের উদ্যোগ নেয়া হলে উক্ত বাড়ীর হোল্ডিং ট্যাক্স এর অংশ বিশেষ রেয়াত দেয়া হবে।

১১। ক্রীড়া, বিনোদন ও শরীর চর্চার সুযোগ সৃষ্টি ঃ
মহানগরীতে শিশু, যুবক ও নারীসহ নগরবাসীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য গঠনের সুযোগ ক্রমশ কমে যাচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী নগরবাসীর বিনোদন কেন্দ্র, ক্রীড়া, শরীরচর্চা ও সাঁতার শেখার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিতান্তই অপ্রতুল। মেয়র নির্বাচিত হলে আমি মহানগরীর বিভিন্ন শিশু-যুব ও ক্রীড়া সংগঠনগুলির সমন্বয়ে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে ক্রীড়া, শরীরচর্চা ও বিনোদনের জন্য আধুনিক মানের উন্নত সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করে নিয়মিত শিক্ষা, অনুশীলন ও প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বিশেষভাবে শিশুদের সাঁতার শিক্ষার জন্য আধুনিক ঝরিসসরহম ঢ়ড়ড়ষ নির্মাণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

১২। ভেজাল মুক্ত বিশুদ্ধ খাদ্য সরবরাহ ঃ
খাদ্যে ভেজাল এবং খাদ্য বিপণনে অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের জন্য নগরবাসী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আমি কেসিসি’র মেয়রের দায়িত্ব পেলে খুলনা মহানগরে ভেজালমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন বিপণন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করব- যা দেশের অন্যান্য নগরীর জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।

১৩। মহানগরীর সড়ক উন্নয়ন ও বর্জ্য-বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ঃ
খুলনা মহানগরীর সড়ক ও লেনগুলো নির্মাণ, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের পরিপূর্ণ দায়িত্ব খুলনা সিটি কর্পোরেশনের। নগরবাসীকে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কেসিসি’র গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো নগরবাসীর নির্বিঘেœ চলাচলের জন্য নিরন্তর কাজ চালিয়ে যাওয়া। আমি বিশ্বাস করি, নগরবাসীর নিকট কেসিসি’র যদি জবাবদিহিতা থাকে এবং রাস্তা, ড্রেন, কালভার্ট ইত্যাদি নির্মাণকালে নগরবাসীর নজরদারী থাকে, তাহলে কেসিসি’র বরাদ্দ যাই থাকুক না কেন, চলাচলের ক্ষেত্রে খুলনা মহানগরীতে এখনও যে সমস্যাদি রয়েছে তা অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে। আমি আপনাদের রায়ে নির্বাচিত হলে রাস্তাঘাট, ড্রেন ও কালভার্ট সংক্রান্ত বিরাজিত সমস্যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং জলবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য নগরীর মধ্যে অবস্থিত খাল সংস্কার করে বর্জ্য ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করব। দখলকৃত জলাশয় পুনরুদ্ধার ও নদী নালার সংস্কার করার চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হবে।

১৪। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঃ
আমি মনে করি, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া বর্তমান সমাজে ভাল কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সক্ষমতা বৃদ্ধি, শিক্ষার মানোন্নয়ন ইত্যাদি ছাড়াও দরিদ্র পরিবারের শিশুদের শিক্ষার জন্য আমি বিশেষ প্রচেষ্টা গ্রহণ করব। বর্তমানে খুলনা মহানগরীতে এনজিও ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান স্ব-উদ্যোগে শিশুদের শিক্ষার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী পরিচালনা করছে। আমি মেয়র হলে বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি ও শিক্ষা সেবায় সক্রিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয় এবং সিটি কর্পোরেশনের পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করব। আমি আশা করছি, সকলের সমন্বিত উদ্যোগে আগামীতে খুলনা মহানগরী একটি “শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর নগরী” হিসেবে পরিচিতি পাবে। মেয়র নির্বাচিত হলে কেসিসি’র উদ্যোগে নতুন করে আরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও লাইব্রেরী গড়ে তুলব।

১৫। খালিশপুর শিল্পাঞ্চল পুনরুজ্জীবনের পদক্ষেপ ঃ
আপনারা জানেন, খুলনা মহানগরীর অন্তর্গত খালিশপুর শিল্পাঞ্চল অতীতে খুলনার একটি বিপুল সম্পদের উৎস ছিল। বিগত বছরগুলিতে নানাবিধ অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে এই শিল্প কারখানা সমূহ মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে একদিকে যেমন এতদাঞ্চলের মানুষ, তথা বিপুল সংখ্যক শ্রমজীবী নগরবাসী তাদের রুটি-রুজি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তেমনি খুলনা বঞ্চিত হয়েছে তার সম্পদের একটি বিরাট উৎস থেকে। এই সমৃদ্ধির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে খুলনা নগরীর তথা কেসিসি’র সমৃদ্ধি ও কল্যাণের প্রশ্নটি অবিভাজ্য। তাই মেয়র নির্বাচিত হলে আমি কেসিসি’র আওতার মধ্যে এবং প্রয়োজনে আওতার বাইরেও সাধ্যমত খালিশপুর শিল্পাঞ্চল পুনরুজ্জীবনের জন্য প্রচেষ্টা চালাব।

১৬। শিল্প ও কলকারখানা স্থাপনে সহযোগিতা দানঃ
আপনারা অবগত আছেন, শিল্প ও কলকারখানা স্থাপনে শক্তির উৎস হিসেবে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জেনারেটর অত্যন্ত অপরিহার্য অবকাঠামো।
একদা খুলনা অত্যন্ত সম্ভাবনাসমৃদ্ধ শিল্পাঞ্চল হিসেবে দেশের মানচিত্রে সুস্পষ্ট স্থান অধিকার করেছিল। মেয়র নির্বাচিত হলে খুলনার প্রায় হারিয়ে যাওয়া সেই শিল্প ঐহিত্য পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সংযোগ ও জেনারেটর স্থাপনে আমি দ্রুত ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করব। এছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানী ও বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনার জন্য উৎসাহিত করা হবে।

১৭। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের উন্নয়ন ঃ
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে খুলনার অবস্থান সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। মূলত: বৃহত্তর খুলনা-যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রস্থল খুলনা। বাংলাদেশ বেতারসহ খুলনা মহানগরীর সাংস্কৃতিক কার্যক্রম নিরন্তরভাবে পরিচালনার জন্য রয়েছেন একদল দক্ষ সাংস্কৃতিক কর্মী, সৃজনশীল মানুষ ও সংগঠক। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এত সম্ভাবনা সত্ত্বেও এই মহানগরীতে সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশের তেমন কোন সুযোগ নেই। সুযোগের অভাবে এই অঞ্চলের অনেক প্রতিভাবান শিল্পী অংকুরেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেলে খুলনা মহানগরীর সাংস্কৃতিক অবকাঠামো উন্নয়ন, সৃজনশীল ও প্রতিভাবানদের জন্য বিশেষ সুযোগ সৃষ্টিসহ সুস্থ ধারার সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশের প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানে সচেষ্ট থাকব। খুলনায় পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন সেন্টার চালুর যে আন্দোলন চলছে তার সাথে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে একাত্ম হব। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের এই মহানগরীর যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে তা দিয়ে শুধু এই মহানগরী নয়, দেশের অন্যান্য এলাকার মানুষদেরও আলোকিত করা সম্ভব। সিটি কর্পোরেশনের অধীনে একটি সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ ও চর্চা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

১৮। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় ভূমিকা গ্রহণ ঃ
সুন্দরবন সংরক্ষণে জাতীয় উদ্যোগের সিংহভাগের সঙ্গে সঙ্গতকারণে খুলনা নগরীতে অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সম্পৃক্ত। দীর্ঘকাল যাবৎ এসব সংস্থা বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হলে খুলনা তথা সমগ্র দেশের বৃহত্তর স্বার্থে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমি বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় সম্ভাব্য সকল রকম সহযোগিতা প্রদান করব।

১৯। বিবিধ প্রসঙ্গ ঃ
আপনাদের সহৃদয় সমর্থন পেয়ে কেসিসি’র মেয়র নির্বাচিত হলে আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমার কার্যকালে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হবে না এবং নতুন হোল্ডিং প্রাপ্তি সহজতর করা হবে।

ক) আপনাদের সমর্থন পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হলে আমি সিটি কর্পোরেশনের এলাকা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করব।

খ) আপনাদের সমর্থন পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হলে আমি রিক্সা, অটোরিক্সা, ভ্যান, ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদান সহজতর করবো। ক্ষুদ্র যানবাহনের লাইসেন্স প্রাপ্তির অজুহাতে ‘টোকেন বাণিজ্যের’ নামে অবৈধ ব্যবসা ও হয়রানী সম্পূর্নরূপে রোধ করব।

গ) খুলনা বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র মহানগরী যেখানে তার উত্তর দক্ষিণ সীমানা জুড়ে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত ভৈরব নদের পাড় ও নদীকে ঘিরে উন্নত বিশ্বের অনুসরণে শরীর পরিচর্যা, চিত্ত বিনোদন, বনায়ন ও নৌ-ভ্রমণসহ ব্যতিক্রমী নানাবিধ আর্কষনীয় অবকাঠামো নির্মাণের সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

ঘ) নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, সড়ক বাতির উন্নয়ন, সড়ক ও ড্রেন পরিচ্ছন্নতা এবং মশক নিধনের জন্য বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। জন নিরাপত্তার স্বার্থে শহরে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, ইভটিজিং, অবৈধ মাদক ব্যবসা ও সেবন, বখাটে উৎপাত ও বেওয়ারিশ কুকুর ইত্যাদি প্রতিরোধ কল্পে স্থানীয় গণ্যমান্যব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষকে সম্পৃক্ত করে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

ঙ) নগরবাসীর সুপেয় পানির সংকট নিরসনে ওয়াসাকে সঠিক পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনা দিয়ে এগিয়ে নেয়া হবে।

চ) অভিজ্ঞ ও বিজ্ঞজনদের পরামর্শের ভিত্তিতে শিল্প সাহিত্য, নাট্যকর্ম ও সঙ্গীতসহ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বিকাশের জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

ছ) শিক্ষিত তরুণ সমাজ তথা ছাত্র-বন্ধুদের জন্য বিনামূল্যে ওয়াইফাই তথা ইন্টারনেট ব্যবহার এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য ফ্রি-ল্যান্সিং সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

জ) নাগরিকদের অধিকতর সেবার লক্ষ্যে আরো নতুন মার্কেট ও সিটি কর্পোরেশনের আয়ের উৎস গড়ে তোলার জন্য আমার ভূমিকা সক্রিয় থাকবে।

ঝ) মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, কবরস্থান ও শ্মশান ঘাটের উন্নয়নে ধর্মীয় নেতাদের সহযোগিতা ও পরামর্শে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে।
ঞ) খুলনার শিল্প বিকাশের স্বার্থে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগ দেয়ার জন্য সরকারি উর্ধ্বতন পর্যায়ে যথাযথ ভূমিকা রাখতে আমি সচেষ্ট থাকব।

ট) সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কাঠামো ঢেলে সাজানো, কেসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের এবং তাদের পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত আবাসন নির্মাণ ও নিয়মানুযায়ী তাদের মানসম্মত শিক্ষা-চিকিৎসার সু-ব্যবস্থাকরণ। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের শ্রমিক-কর্মচারীদের ৯০ মাসের গ্রাচুইটি ফান্ড গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। স্থায়ী কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবী বাস্তবায়ন এবং নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করণের জন্য নাগরিক-শ্রমিক বান্ধব প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করা হবে। কেসিসির মাষ্টাররোল কর্মচারীদের পদ সৃষ্টিসহ তাদের চাকুরি স্থায়ীকরণের লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ঠ) কেসিসি তালিকাভূক্ত উন্নয়ন সহযোগী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানসমূহের সকল কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে যথাযথ বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক অহেতুক জটিলতা ও হয়রানি বন্ধে সচেষ্ট থাকব।

ড) সিটি কর্পোরেশনের জনকল্যাণ ও উন্নয়ন মূলক প্রকল্প সমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

ঢ) হকার, রিক্সা-ভ্যান-ইজি বাইক-বেবী টেক্সি চালক, নির্মাণ শ্রমিক, মোটর শ্রমিক, শিল্প শ্রমিক, হোটেল কর্মচারী, গৃহকর্মীসহ শ্রমজীবী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার বিষয়ক সকল ন্যায্য প্রশ্নে তাদের পাশে থাকব।

ণ) নগরীতে বিচরণকারী হতদরিদ্র, ছিন্নমূল, ভবঘুরে ও ভিখারীদের পুনর্বাসনের জন্য এতদুদ্দেশ্যে কর্মরত সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির উদ্যোগ ও তৎপরতা আরও বৃদ্ধির জন্য আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।

প) আপনাদের সহায়তায় নি¤œআয়ের মানুষ ও বস্তিবাসীদের উন্নয়ন এবং তাদের চিকিৎসাসহ জীবন-ধারণের সহায়ক কর্মপরিকল্পনায় যুক্ত স্বেচ্ছাসেবী, দাতব্য সরকারি-বেসরকারি সংগঠনগুলির কার্যক্রম আরও গতিশীল করার চেষ্টা করব।

ফ) নগরীর যানযট নিরসনের জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাথে ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃপক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

ব) আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে বেসরকারী ও সরকারি খাতকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.