কেকেআর ম্যাচের আবহে হায়দরাবাদ বধ মুম্বাইর

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ঠিক যেন কেকেআর ম্যাচের রিপিট টেলিকাস্ট। স্কোরবোর্ডে দেড়শ’ তোলার পর প্রতিপক্ষ দলের টপ অর্ডারের ঝলকানি। আর টপঅর্ডার ধসে পড়তেই ধীরে ধীরে ম্যাচের দখলে নেওয়া। কেকেআর ম্যাচের সেই আবহই যেন এবার হায়দরাবাদে ম্যাচে দেখাল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তাদের ১৫০ রানের জবাবে হায়দরাবাদ ২০ ওভার খেলার আগেই ১৩৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। তাতে টানা দুই ম্যাচ জয় পেল রোহিত শর্মার দল।
গতকাল শনিবার (১৭ এপ্রিল) চেন্নাইয়ের এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে মুম্বাই। টার্গেটে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ৪ বলে ১৩৭ রানে গুটিয়ে যায় হায়দরাবাদ। ১৩ রানে জিতে মাঠ ছাড়ে রোহিত শর্মার দল। এর আগে কলকাতার বিপক্ষে ১৫২ রান করেও মুম্বাই জিতে ১০ রানে।
অথচ মাত্র ১৫১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে কী দারুণ শুরুই না করেছিল হায়দরাবাদ। ৮ ওভার না পেরোতেই দলটি তুলে ফেলে ৬৭ রান। মাত্র ২২ বলে ৪টি ছয়ে ৪৩ রান করা জনি বেয়ারস্টো আউট হলে ভাঙে ওপেনিং জুটি।
ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফেরেন নতুন ব্যাটস্যান মানিশ পান্ডে। তখনো ক্রিজে ছিলেন ওয়ার্নার। তিনি ২২ বলে ৪৩ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলে শুরু হয় আসা-যাওয়ার মিছিল। তবে বিজয় শংকর ক্রিজে থাকায় কিছুটা সম্ভাবনা ছিল। ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতে ২৬ বলে ২৮ করা বিজয় আউট হলে লেখা হয়ে যায় হায়দরাবাদের হারের গল্প।
শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভার ৪ বলে ১৩৭ রান করে সবকটি উইকেট হারায় ওয়ার্নারের দল। মুম্বাইয়ের হয়ে ৩ ওভার ৪ বলে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বোল্ট। আর রাহুল চাহার ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। এ দুজনেই মূলত গুঁড়িয়ে দেন হায়দরাবাদকে।
এটা হায়দরাবাদের টানা তৃতীয় হার। অন্যদিকে দেড়শ’ করেই টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলো মুম্বাই।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে রোহিত-ডি ককের ব্যাটে দারুণ শুরু করেছিল মুম্বাই। ৩৯ বলে ৪০ রান করে রোহিত আউট হলে ৫৫ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। গতি কমে যায় রানের চাকার।
থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি ডি কক। তিনি ২৫ বলে ৩২ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ইশান কিষান-সূর্যকুমার যাদবরা ব্যর্থ হলে ম্যাচের হাল ধরেন কিয়েরন পোলার্ড। তার ২২ বলে ৩৫ রানের ঝড়ে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে মুম্বাই। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১টি চার ও ৩টি ছক্কায়।
হায়দরাবাদের হয়ে দারুণ বোলিং করেন খালিল আহমেদ ও মুজিবুর রহমান। খালিল ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। অন্যদিকে মুজিব ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়েন নেন ২ উইকেট। উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে দারুণ বোলিং করেছেন রশিদ খান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.