কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে মধ্যরাতে অমিতের বৈঠক, সিল করা হল দিল্লির সীমানা

(কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে মধ্যরাতে অমিতের বৈঠক, সিল করা হল দিল্লির সীমানা)
কলকাতা প্রতিনিধি: অমিত শাহের শর্তসাপেক্ষে আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন বিক্ষোভকারী চিকিৎসকরা ৷ উল্টে দিল্লি অবরুদ্ধ করার ডাক দিয়ে আরও বেশি সংখ্যক কৃষক জড়ো হয়েছেন দিল্লি- হরিয়ানা সীমান্তে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে গতকাল রবিবার (২৯ নভেম্বর) গভীর রাতে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে তাঁর বাড়িতে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার ৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কৃষকরা যদি শুধুমাত্র দিল্লি বুরারিতে সরকারের চিহ্নিত করে দেওয়া জায়গাতেই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখান, তাহলে আগামী বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে ৷ কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন কৃষকরা ৷ তাঁরা হুমকি দিয়েছেন, সোনিপথ, রোহতক, জয়পুর, গাজিয়াবাদ-হাপুর এবং মথুরা- দিল্লির এই পাঁচটি প্রবেশপথ বন্ধ করে দেবেন তাঁরা ৷

কৃষকদের বিক্ষোভের জেরে এ দিন সকাল থেকেই দিল্লিতে প্রবেশের টিকরি, সিংঘু সীমান্তে যান চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ ৷ গাজিপুর সীমান্তও আংশিক সিল করা হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, গোটা দেশেই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন কৃষক নেতারা ৷
গত তিন দিন ধরে দিল্লি সীমান্তের কাছে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক ৷ মূলত পঞ্জাব এবং হরিয়ানা থেকে জড়ো হয়েছেন এই কৃষকরা ৷ নতুন পাশ হওয়া তিনটি কৃষি আইন বাতিল এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা ৷
গতকাল রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে তাঁরা দাবি করেন, কোনও শর্ত ছাড়াই তাঁদের আলোচনায় ডাকা উচিত ছিল সরকারের ৷ কৃষকদের আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দিষ্ট করে দেওয়া জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে গেলে সেটিকেই অস্থায়ী জেল হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে ৷
গত কয়েক দিন ধরেই কৃষকদের আটকাতে জল কামান , টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেও তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যর্থ হয় হরিয়ানা পুলিশ৷ কৃষকদের বিক্ষোভের পিছনে খলিস্তানি মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার ৷ তাতে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ৷
কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-এর সঙ্গে কথা লড়াইতে জড়ান মনোহর লাল খাট্টার৷ হরিয়ানার পুলিশও কৃষকদের আন্দোলন থামাতে যে ধরনের আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছে, তারও সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে ৷
আন্দোলনের তীব্রতা যত বাড়ছে, চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের উপরে৷ বাধ্য আসরে নামেন অমিত শাহ ৷ কিন্তু তাঁরও প্রস্তাবও খারিজ করে দিলেন অনড় কৃষকরা৷ পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আগে তাই দলের সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সঙ্গে গভীর রাতে আলোচনায় বসলেন অমিত শাহ ৷
এমন কি, কৃষকদের ক্ষোভ প্রশমনে অমিত শাহ এমনও বলেছেন, কৃষকদের বিক্ষোভের পিছনে কোনও রাজনৈতিক উস্কানি নেই ৷ তবে তিনটি নতুন আইনই কৃষকদের মঙ্গলেই প্রণয়ন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৷
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.