কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে জেলার ৯ উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার গ্রামীণ রাস্তাসহ উঁচু এলাকারও পাকা-আধা পাকা সড়ক।
পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে থাকা অনেক মানুষ তাদের আসবাপত্র আর গৃহপালিত পশু নিয়ে  বৃষ্টিতে ভিজে কোন রকমে পাকা সড়ক উচু বাধে আশ্রয় নিয়ে বাসবাস করছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবর চন্দ্র সরকার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, কুড়িগ্রামে যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে তা ১৫ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। ১৫ তারিখের পর আগামী পরিস্থিতি জানা যাবে। গত ২৪ ঘন্টায় ৪৪ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
কুড়িগ্রাম সদর যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর গ্রামের মফিজুল ও রুবেল বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, আমাদের সবার বাড়ি ও টিউবওয়েল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কোনরকমে  চোখির উপরে বসবাস করছি রান্না করা ও বিশুদ্ধ পানির খুবই সমস্যা পড়ছি আমরা।
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী সরকার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমার ইউনিয়নটি সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার পরিবার পানি বন্দি জীবন যাপন করছে। গত বন্যার কিছু বরাদ্দ ছিল তা বিতরণ করা হয়েছে নতুন করে এখনও বরাদ্দ পাইনি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানায়, ধরলার পানি বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি বিপদসীমার সামান্য উপর দিয়ে,  ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারীতে ৪৫ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্ট ৪৭ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছ।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি মো. হাফিজুর রহমান হৃদয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.