কুপিয়ানস্ক থেকে বাসিন্দাদের সরানোর নির্দেশ ইউক্রেনের

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের ফ্রন্টলাইন শহর কুপিয়ানস্ক ও পার্শ্ববর্তী উত্তর-পূর্ব বিভিন্ন এলাকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলক সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান এ নগরী ও রেলের কেন্দ্রবিন্দু রাশিয়া পুনরুদ্ধার করার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় তারা এমন নির্দেশ দিল। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সেনারা কুপিয়ানস্কসহ উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন শহর থেকে পিছু হটে। কুপিয়ানস্ক পূর্ব ইউক্রেনের যুদ্ধ ফ্রন্টলাইনের কাছে অবস্থিত হওয়ায় স্থানীয়রা আশঙ্কা করছে, এটি রাশিয়া ফের দখল করে নিতে পারে।
খারকিভ আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসন তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, কুপিয়ানস্ক থেকে শিশুসহ বিভিন্ন পরিবার ও বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলকভাবে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এ অঞ্চলে রাশিয়ার সেনাদের হামলার কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) জানান, রুশ বাহিনী কুপিয়ানস্ক শহরসহ এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি বসতিতে কামানের গোলা, রকেট লাঞ্চার ও মর্টার হামলা চালিয়েছে।
কুপিয়ানস্কের আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসক জানিয়েছে, এই শহর ও আশেপাশের এলাকায় রাশিয়া ইতোমধ্যে হামলা শুরু করেছে। তাই সাধারণ বাসিন্দাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাদের সরিয়ে নেওয়া হবে তাদের আবাসন, খাবার, মানবিক সহায়তাসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
সামরিক প্রশাসক জানিয়েছে, ধীরে ধীরে বেশি সংখ্যক মানুষকে এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। কারণ রাশিয়া ওত্ পেতে আছে। তারা যে কোনো সময় আরো বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে। এ কারণেই সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় দ্রুত এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সেখানকার ওয়ার স্টাডি ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, রুশ বাহিনী কুপিয়ানস্কের উত্তর-পূর্বে ‘সীমিত স্থল আক্রমণ’ চালিয়ে যাচ্ছে, পাশাপাশি ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে ক্রেমিনার আশপাশে আক্রমণাত্মক অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। কুপিয়ানস্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংশন রয়েছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কয়েক দিনের মধ্যেই রাশিয়া এটি দখল করে নেয়। পরে আবার তা পুনরুদ্ধার করে কিয়েভ। কিন্তু বর্তমানে এই জায়গাটিকে ফের টার্গেট করেছে রাশিয়া। তারা উঠেপড়ে লেগেছে এটি পুনরায় দখল করার জন্য।
এদিকে প্যারামিলিটারি গ্রুপ ওয়াগনার জানিয়েছে, তাদের বাহিনী বাখমুতকে শক্তভাবে ঘিরে রেখেছে। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্বীকার জানিয়েছে, বাখমুতের পরিস্থিতি (কুপিয়ানস্কের ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে) বেশীমাত্রায় ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
কিন্তু বর্তমানে তারা সেই অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে পেরেছেন। টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে, ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন শুক্রবার (৩ মার্চ), তারা বাখমুতে আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.