কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হতেই টালবাহানা শুরু বাবুর

ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বাবু নামের এক যুবক। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পর বিয়ের চাপ দিতেই টালবাহানা শুরু করে বাবু।

পরে ভিকটিম নিজে বাদী হয়েই একটি ধর্ষণ মামলা করে। পরে এক ইউপি সদস্যসহ ৫জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।সত্যনগর এলাকা থেকে গতকাল মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার সত্যনগর গ্রামের ধর্ষক ফজলুল করিম বাবু, তার মা রেজিয়া বেগম, বোন রাবেয়া আক্তার মুক্তা, স্থানীয় সালিশদার আবুল হোসেন ও নুরুল করিম চৌধুরী সাজু। তাদের মধ্যে নুরুল করিম চৌধুরী সাজু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মহামায়া ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, সত্যনগর গ্রামের মুদি দোকানি ফজলুল করিম বাবু কয়েক মাস আগে মহামায়া ইউনিয়নের এক কিশোরীকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপর মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দিতেই টালবাহানা শুরু করে বাবু।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সবুজসহ কয়েকজন মাতব্বর সালিশ-মীমাংশার মাধ্যমে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।জানা যায়, ভিকটিম বিয়ের দাবী নিয়ে বাবুর বাড়ি গিয়েছিলো। সেখানে তাকে মারধর করে বাবুর পরিবারের সদস্যরা।

কোথাও বিচার না পেয়ে কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) ছাগলনাইয়া থানায় ৮জনকে এজাহার নামে আসামী করে মামলা করেন। রাতে অসুস্থ ভিকটিমকে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ফেনী প্রতিনিধি মোঃ দেলোয়ার হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.