কালো পতাকা শোকের প্রতীক বলার প্রতিক্রিয়া: বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যার চেয়ে বড় শোক আর কিছু হতে পারে না : ড. মঈন খান

ঢাকা প্রতিনিধি: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.আব্দুল মঈন খান বলেছেন, গণতন্ত্র কিন্তু ছেলের হাতের মোয়া নয়, এটা আমাদের বুঝতে হবে। গণতন্ত্রকে যদি আমরা বজায় রাখতে চাই তাহলে আমাদের প্রতিটি মুহূর্তে সংগ্রাম করে যেতে হবে। আমরা সেই সংগ্রামে রত আছি। অতএব, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। হতে পারে ৭ জানুয়ারি আমাদের প্রত্যাশা ছিল বড়, সেটা আমরা সেদিন অর্জন করতে পারিনি। এতে হতাশ হওয়ার কি আছে?
রোববার (২৮ জানুয়ারি) প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি আয়োজিত ‘গ্যাস সংকট ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, পাচার করা ও ঋণ খেলাপিদের টাকা উদ্ধার সর্বগ্রাসী দুঃশাসন রোধে একদলীয় ডামি নির্বাচনের সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড.আব্দুল মঈন খান বলেন, আমরা গতকাল কালো পতাকা মিছিলি করেছি, আমরা আবারও কালো পতাকা মিছিল করব। আমাদেরকে ঠাট্টা করে বলা হয়েছে কালো পতাকা নাকি শোকের চিহ্ন। সরকারের বোঝার মতো সেই জ্ঞান-গরিমা নেই যে তারা আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে এর থেকে বড় শোক আর কিছু হতে পারে না। সারা বিশ্বের একটি স্বীকৃতি পন্থা হচ্ছে কালো পতাকা মিছিল, এটা প্রতিবাদের ভাষা। আমরা শান্তিপূর্ণ সেই প্রতিবাদের ভাষা ব্যবহার করেছি। এই ভাষা আমরা ব্যবহার করতেই থাকব যতক্ষণ পর্যন্ত না নৈতিকভাবে এই সরকার পরাজিত হয়ে বিদায় না নেয়। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন রাজপথে চলতেই থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫টি মামলা দেওয়া হয়েছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন কী আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর নামে একটি মামলাও দেওয়া হয়েছিল? কিন্তু আওয়ামী লীগ এখন ভাওতা দিচ্ছে যে বিএনপি তাদের ওপর জুলুম করেছে। কিন্তু কী জুলুম করেছে সেটার হিসাব কিন্তু তারা দিতে পারেনি। এটা পারবেও না, এটা সম্ভব নয়। কারণ আওয়ামী লীগ বিএনপি দুটি ভিন্ন চরিত্রের রাজনৈতিক দল। আওয়ামী যা করে বিএনপি তা করে না। আওয়ামী বাকশাল করে বিএনপি গণতন্ত্র করে। আওয়ামী লীগ তার বিরোধী দলকে জুলুম করে বিএনপি তার বিরোধী দলকে কথা বলার সুযোগ দেয়।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা জোর গলায় বলছি এবং বলতেই থাকব বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্রের অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আপনাদের কাছে আবেদন যে আপনারা আপনাদের মনোবল অটুট রাখুন। আমরা সত্যের সংগ্রামে আছি ন্যায়ের সংগ্রামে আছি। এখানে বন্দুক বুলেট দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে আওয়ামী লীগ কাবু করতে পারবে না।
গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ,গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মোমাসুদ রানা খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.