কারাবন্দী বেগম জিয়ার মুক্তিতে বিএনপি’র ‘প্যাকেজ কর্মসূচি’

ঢাকা প্রতিনিধি:  কারাবন্দী বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের ‘প্যাকেজ কর্মসূচি’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। কর্মসূচির তারিখ ঘোষণা না করলেও চলতি মাসেই এটি ঘোষণা করা হবে।

এ ছাড়া ছাত্রদলের বয়সসীমা তুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে সৃষ্ট সংকট সমাধান, বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের যোগ্য মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে সমাধান করতে চাচ্ছেন স্থায়ী কমিটির নেতারা।

আজ শনিবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর বিএনপ’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

বিএনপ’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,  সভায় অবিলম্বে দেশনেত্রী বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্যে চলমান আন্দোলনকে আরও বেগবান করার জন্যে এবং অন্যান্য আইনত ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কবে নাগাদ আন্দোলনের কর্মসূচি আসবে জানতে চাইলে  মির্জা ফখরুল বলেন,  এ ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। আগামী চার সাপ্তাহের মধ্যেই এই কর্মসূচিগুলো আসবে।

ছাত্রদল নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন,  এগুলোর বিষয়ে যাদের দায়িত্ব রয়েছে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। ছাত্রদলের ব্যাপারে যাদের দায়িত্ব আছে তারাই পরবর্তিতে আপনাদেরকে জানাবেন।

তবে বৈঠকে থাকা এক নেতা জানিয়েছেন, বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের যোগ্য মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে বয়সসীমা তুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের সমাধান করতে চাচ্ছেন তারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ২০০০ সালে এইচএসসি পাশ করেছেন তাদের দিয়ে কমিটি করতে চান। বৈঠকে তারেক রহমান দুইজন স্থায়ী কমিটির সদস্যকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দিয়েছেন।

ছাত্রদল নিয়ে কাজ করছেন নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে যারা আন্দোলন করছেন, তাদের মধ্যে যারা যোগ্য তাদেরকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও তাঁতী দলে গুরুত্বর্পূণ পদ দিতে বলেছেন। যোগ্যতার ভিত্তিতে এ পদ দিতে সুপারিশও করতে বলেছেন বলে জানান ওই নেতা। সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করতে আগামীকাল রোববার ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে বসারও কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক জিয়াউর রহমানের কবর সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপ’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,  উনি এই ধরনের কথা প্রায়ই বলেন, এই ধরনের কথা আগেও বলেছেন। আমরা মনে করি, তাদের যে রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা এসব তারই বর্হিঃপ্রকাশ। এই ধরনের চিন্তা করাও রাজনৈতিক কোনো চিন্তা বলে মনে হয় না।’

বরগুনায় রিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিএনপ’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা সরকারের ব্যর্থতা ও উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে। ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে এবং একটা চরম অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সমাজিক সংকট বিরাজ করছে দেশে।’

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকেল থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত ওই বৈঠক চলে। বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপেতে তারেক রহমান যুক্ত ছিলেন।

বিএনপ’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বৈঠকে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.