কাঁপছে ভয়ে বড় দুই দলের কর্মীদের বুক : বি. চৌধুরী

বিটিসি নিউজ ডেস্ক:  আজ শনিবার রাজনীতিবিদদের সম্মানে বিএনপির ইফতার অনুষ্ঠানে বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন আজ কাঁপছে ভয়ে বড় দুই দলের কর্মীদের বুক। রাজধানীর লেডিস ক্লাবে এই ইফতার অনুষ্ঠান হয়।

কারণ আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বিএনপির কর্মীদের কী হবে আর বিএনপি এলে আওয়ামী লীগ কর্মীদের কী হবে—এ নিয়েই দুই দলের কর্মীরা চিন্তায় আছেন।

দেশে ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বি. চৌধুরী বলেন, আজ বিএনপির নেতাদের বেশি না হলেও কর্মীদের ভয়ে বুক কাঁপে দুর দুর করে। কাঁপবে না কেন? আবার যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তাই তাঁরা তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। তবে অভিজ্ঞতায় বলে, খুব সুবিধা হবে না। তিনি আরও বলেন, ‘একইভাবে সরকারের কিছু রাজনৈতিক কর্মী আমার কাছে আসেন, তাঁদেরও বুক কাঁপে। যদি বিএনপি আসে, তাহলে তাঁদের কী হবে? এটা কি খুব ভালো কথা, এটা কি রাজনীতির জন্য শুভ? এটা কি ইঙ্গিত নয় যে দেশ এমন একটা পর্যায়ে যেতে পারে, যেখানে মানুষ মানুষকে হত্যা করবে, জেলে দেবে, আগুন জ্বালিয়ে দেবে। কিন্তু থামাবে কে? আমি চিন্তার খোরাক দিয়ে গেলাম।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করেন, ‘সংকট উত্তরণে জাতীয় ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আর দেশের এই দুঃসময়, গণতন্ত্রের চরম সংকটে আমরা সবাই প্রত্যাশা করি, আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দ মূল্যবান অবদান রাখবেন এবং সংকট উত্তরণে তাঁরা নেতৃত্ব দেবেন।’ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতীয় নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ইফতার অনুষ্ঠানে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চেয়ারটি ফাঁকা রাখা হয়। এতে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকতউল্লাহ বুলু, জয়নুল আবেদীন, শামসুজ্জামান দুদু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, এনামুল হক চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদউদ্দিন চৌধুরী, এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, শরিফুল আলম, আবদুল আউয়াল খান প্রমুখ ছিলেন।

২০-দলীয় জোটের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পারোয়ার, আবদুল হালিম, নুরুল ইসলাম বুলবুল, সেলিমউদ্দিন, মোবারক হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুর রকীব, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, বিজেপির আবদুল মতিন সউদ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এম এম আমিনুর রহমান, জাগপার রেহানা প্রধান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপির খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া প্রমুখ অংশ নেন।

এ ছাড়া ২০-দলীয় জোটের বাইরে ইফতারে অংশ নেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, বিকল্পধারায় সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক প্রমুখ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.