কসবায় ঢাবির শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

বিশেষ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান ওরফে মাসুদ এর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবীতে আজ মঙ্গলবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার স্বাধীনতা চত্ত্বরে মানবন্ধন হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত কসবা-আখাউড়া ছাত্র সংসদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করেছেন। ওই মানববন্ধনে সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধার, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন অংশ নিয়েছেন।  বক্তরা বলেন, হাফিজুর রহমান আত্নহত্যা করতে পারেনা। তাকে একটি মহল পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। সেই খুনের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবী জানিয়েছেন।
বিকাল পাঁচটায় কসবা পৌর শহরের স্বাধীনতা চত্ত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ঘন্টাখানেক চলে এ মানববন্ধন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত কসবা-আখাউড়া ছাত্র সংসদ এর সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে গোলাম ছাইদ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবদুল হান্নান, সাবেক সভাপতি মো. সোলেমান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিম আহাম্মেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাঈদে সারা,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান , চট্টগ্রাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইকরাম হাসান, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী একতেমাত সলাম প্রমুখ।
নিহত হাফিজুর রহমান ওরফে মাসুদ কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের খাড়েরা গ্রামের হাফেজ মজিবুর রহমানের ছেলেদুই ভাই আর এক বোনের মধ্যে হাফিজুর রহমান দ্বিতীয়। বড় ভাই হাবিবুর রহমান অর্নাস পাস করে একটি ওষুধ কোম্পানীতে চাকুরী করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষা বর্ষের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের শেখ মজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী ছিলেন। একমাত্র ছোট বোন মন্নি আক্তার কসবা টি.আলী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
নিহতের পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফিজুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করায় ঢাকায় বসবাস করতেন। পরিবারের লোকজনদের সাথে ঈদ করতে ঈদের আগের দিন বাড়িতে আসেন। ঈদ শেষে পরের দিন শনিবার গত (১৫ মে) আবারও ঢাকায় চলে যান। রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্জুন হল এলাকায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়। ওই রাতেই তার মায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা হয়। মা আমি ঢাকায় পৌছেছি। সেই কথা বলার পর থেকে তাকে আর ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরদিন হাফিজুর রহমানের মা সামসুন্নাহার বেগম কসবা থানায় একটি নিখোঁজের জন্য সাধারণ ডাইরী করেন। সেই ডাইরীর পথ ধরে কসবা থানা পুলিশ তাকে ঢাকার শাহবাগ থানায় যোগাযোগ করতে বলেন।
শাহবাগ থানায় তাঁর বড় ভাই হাবিবুর রহমান যোগযোগ করলে ওই থানার পুলিশ হাফিজুরের মৃত্যুর একটি ছবি দেখালে হাবিবুর রহমান তার ভাই হাফিজুর রহমানের লাশ সনাক্ত করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.