কসবায় কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় (১৭ আগস্ট)  আজ শনিবার দুপুরে আবদুল্লাহ ওরফে বাবু (১৮) নামের এক কিশোরের মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। নিহত আবদুল্লাহ ওরফে বাবু উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়রে লতুয়ামুড়া গ্রামের জসিম মিয়ার ছেলে। নিহত আবদুল্লাহর পরিবার শীতলপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন ।

এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, আবদুল্লাহ পেশায় একজন রিক্সা চালক। সে নিয়মিত নেশা করে। নেশার টাকার জন্য পরিবারের সদস্যদের উপর অত্যাচার চালায়। প্রতিদিন তাকে নেশার টাকা তিনশ টাকা করে দিতে হয়।

গত দুই দিন তাকে তিনশ টাকা করে দেয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকালে আবদুল্লাহ আবারও তার মায়ের কাছে তিনশ টাকা চায়। তিনশ টাকা না দেয়ায় পরিবারের লোকজনের সাথে উত্তেজিত হয়ে যায়।

এ সময় তাকে শাসন করে তার বাবা-মা ও তার দুই বোন। শাসনের এক পর্যায়ে সে মাটিতে লুটে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। গুরুতর অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে নিহতের পরিবারের লোকজন লাশ তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে কযেকজন স্থানীয় লোকজন বিটিসি নিউজকে বলেন, ছেলেটি নেশাগ্রস্থ ঠিকই। তার পরিবারের সকলেই নেশার সাথে জড়িত। সে নেশাগ্রস্থ হলেও পরিবারের লোকজনদের নেশা জাতীয় দ্রব্য ব্যবহারে বাধা দিত।

তাই পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধোর করলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ফেরদৌসি বেগম বলেন, ছেলেটি মারা যাওয়ার অনেক পরে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার সারা শরীরে কাদাঁ রয়েছে। শরীরে আঘাতের কোন চিহৃ পাওয়া যায়নি।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, ছেলেটির মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়েছে। কেউ কেউ বলছে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আবার কেউ বলছে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে।

এ কারনে থানায় সাধারণ ডাইরী করে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করার জন্য লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.