করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বাগেরহাটে সাড়ে আট হাজার গর্ভবতি মা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় গর্ভবতি প্রায় সাড়ে আট হাজার মা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। এইসব গর্ভবতি মায়েদের ঘরবন্দি থেকে সাবধানে চলাফেরা করতে পরামর্শ দিয়েছে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ।

এসব মায়েদের নিয়মিত স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিচ্ছে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ কর্মীরা। গর্ভকালীন সময়ে যেসব মায়েদের শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেবে তাদের চিকিৎসার জন্য মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসকরা প্রস্তুত রয়েছেন।

বাগেরহাট জেলার ৯ উপজেলায় ৮ হাজার ৪৩১ জন মা গর্ভবতি (সন্তান সম্ভবা) রয়েছেন।

এরমধ্যে বাগেরহাট সদরে এক হাজার ৫৩৩ জন, চিতলমারীতে ৮৯০ জন, মোল্লাহাটে ৮৭০ জন, ফকিরহাটে এক হাজার ৫৮ জন, রামপালে ৫৩৭ জন, শরণখোলাতে ৫৯০ জন, মোরেলগঞ্জে এক হাজার ৪৯১ জন, কচুয়ায় ৫৫৬ জন এবং মোংলাতে ৮১৬ জন।

বাগেরহাটের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস সামাদ বলেন, গর্ভবতি মায়েদের সেবা দেয়ার জন্য ২৪ ঘন্টা হাসপাতাল খোলা রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারনে অতিপ্রয়োজন ছাড়া কোন গর্ভবতি মা এখানে সেবা নিতে আসছেন না। তবে তাদের সেবা দিতে এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রস্তুত আছে।

গর্ভবতি মায়েদের সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, সামাজিক দুরত্ব মেনে চলাফেরা করবে। একজন গর্ভবতি মাকে অন্তত চার চেকআপ করে থাকি। মা ও তার গর্ভের শিশুর রক্ত সঞ্চালন ও হার্টবিট, এই মায়ের ডেলিভারী কবে নাগাদ হবে এসব সেবা নিতে তারা এখানে নিয়মিত এসে থাকেন।

কিন্তু এখন এই মায়েদের বাইরে চলা বেরোনোতে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি আছে সেজন্য তাদের খুববেশি সমস্যা না হলে হটলাইনে ফোন করে সেবা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এই মায়েরা তাদের সুরক্ষার জন্য পুষ্টিকর খাবার খাবে, পর্যাপ্ত পানি পান করবে, মুখে মাক্স ব্যবহার করবে এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বাগেরহাট কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক গুরুপ্রসাদ ঘোষ বলেন, বাগেরহাট জেলার ৯ উপজেলায় ৮ হাজার ৪৩১ জন মা গর্ভবতি রয়েছেন। এদের সেবা দিতে আমাদের মাঠ পর্যায়ে ৩৪৫ জন কর্মী নিয়োজিত আছেন। এই গর্ভবতি মায়েরা কিন্তু এখন স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

তাই আমরা এইসব গর্ভবতি মায়েদের ঘরবন্দি থেকে সাবধানে চলাফেরা করতে পরামর্শ দিচ্ছি। এই সময়টাতে কোন অবস্থাতে তারা যেন ঘরের বাইরে না আসেন। ইউনিয়ন পর্যায়ের যেসব ক্লিনিকগুলো আছে আমাদের মাঠ কর্মীরা গর্ভবতি মায়েদের সেবা দিয়ে আসছেন। আমাদের মাঠকর্মীরা গর্ভবতি এসব মায়েদের বাড়িতে যেয়ে অথবা মোবাইল ফোনে তাদের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরাও ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছেন।

গর্ভবতি মায়েদের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলেই স্থানীয় হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এই গর্ভবতি মায়েদের কাছে আমাদের মাঠকর্মীদের ফোন নাম্বার দেয়া আছে তারা কোন সমস্যায় পড়লেই যেন আমাদের কল করে সেই আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.