করোনা মোকাবেলায় সাবেক কূটনীতিকদের নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী’র ভার্চুয়াল সভা

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলা এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশের জন্য করণীয় নির্ধারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে আসার পরও যেন বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে কোটামুক্ত সুবিধা পেতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন সাবেক কূটনীতিকগণ। সম্প্রতি বাংলাদেশের কোটামুক্ত সুবিধা প্রাপ্তির প্রশংসা করেন তারা।

বাংলাদেশের সাথে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক সংস্থার ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো এবং দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারকরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানান আলোচকগণ।

এছাড়া বক্তারা করোনার টিকা আবিষ্কৃত হলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশসমূহ যাতে উন্নত বিশ্বেরমত একইভাবে উপকৃত হতে পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন আয়োজিত কোভিড-১৯ তহবিল গঠনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রশংসা করা হয়। এছাড়া গ্লোবাল ভ্যাকসিনেসন সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন সাবেক কূটর্নীতিকগণ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আবুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ভার্চুয়াল সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংযুক্ত ছিলেন।

এ সময় সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন এম আর ওসমানী, ফারুক সোবহান, সি এম শফি সামি, শমসের মোবিন চৌধুরী, এ. কে. এম আতিকুর রহমান, মো. শহিদুল হক, মো. আব্দুল হান্নান, হুমায়ুন কবির, আহমদ তারিক করিম ও মহসীন আলী খান।

পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে সাবেক এসব কূটনৈতিকদের সুপারিশসমূহ অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচিত হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এ সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশে থাকায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ সাবেক এ কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন। এ ধরনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। ইত:পূর্বে বিদেশস্থ বাংলাদেশের মিশনসমূহে কর্মরত রাষ্ট্রদূতদের সাথেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.