করোনার ক্ষতি মোকাবেলায় তামাকে ৩% কোভিড সারচার্জ আরোপের দাবী ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপির


প্রেস বিজ্ঞপ্তি: তামাক ব্যবহারের ফলে করোনা মহামারীর এ সময়ে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর চাপ বেশি পড়ছে। তামাক ব্যবহারকারীদের আইসিইউ বেশি দরকার পড়ছে। তাই করোনার ক্ষতি মোকাবেলায় সব ধরনের তামাকদ্রব্যে ৩% কোভিড সারচার্জ আরোপের দাবী জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপি।

সম্প্রতি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনলাইন মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপি বলেন, গত তিন মাসে দেশে করোনায় এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। এজন্য আমরা সবাই আতঙ্কিত। কিন্তু একই সময়ে তামাকজনিত রোগে ২৪ হাজার মানুষ মারা গেছেন, যা নিয়ে আমরা মোটেও চিন্তিত নই।

তাছাড়া তামাক ব্যবহার করোনা সংক্রমণ এবং জটিলতা বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই আসন্ন ২০২০-২১ বাজেটে তামাকদ্রব্যে ৩% কোভিড সারচার্জ আরোপ করা জরুরি।

একই সাথে তামাক কর বৃদ্ধির বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠানো সুপারিশমালা বাস্তবায়নের প্রতিও গুরুত্ব দেন তিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, সিগারেটের মূল্যস্তর ৪টি থেকে ২টি নির্ধারণ করা; একিভূত নতুন নিম্নস্তরের ১০ শলাকা সিগারটের খুচরা মূল্য ন্যূনতম ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা; একিভূত নতুন প্রিমিয়াম স্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ন্যূনতম ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১৯ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা; ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ৪০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫% সম্পূরক শুল্ক ও ৬.৮৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা; এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ৩২ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫% সম্পূরক শুল্ক এবং ৫.৪৮ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা; ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের ক্ষেত্রে প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৪০ টাকা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ২৩ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫% সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা; এবং প্রতি ১০ গ্রাম জর্দা ও গুলের উপর যথাক্রমে ৫.৭১ টাকা এবং ৩.৪৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা এবং সকল ক্ষেত্রে ১৫% ভ্যাট বহাল রাখা।

এই সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে, সরকার ১১ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করতে পারবে, যা কোভিড-১৯ মহামারী সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ব্যয় এবং প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কাজে লাগবে।

তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণে এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি বলেও উল্লেখ করেন।

সংবাদ প্রেরক মাহামুদ সেতু, মিডিয়া ম্যাজোর, অ্যান্টিটোব্যাকো প্রোগ্রাম, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.