করোনায় আক্রান্ত বাড়লেও কমছে মৃত্যু

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: টিকাকরণের আগে:
১লা মে ২০২০ থেকে ৩১শে জানুয়ারি ২০২১;
আক্রান্ত-১,২৫,৬৬৫
মৃত্যু-২,৮৬০
মৃত্যুর হার-২ʼ২৭ শতাংশ
টিকাকরণের পরে:
১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২১;
আক্রান্ত-১,৮৮,৬৫০
মৃত্যু-১,৯৯৯
মৃত্যুর
হার-১ʼ০৬ শতাংশ।
পুজোকে কেন্দ্র করে করোনার সংক্রমণ বেশ ঊর্ধ্বমুখি ছিল। এখনও মোটামোটি তাই চলছে। পুজোর সময় দৈনিক ১৫০-২০০জন প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছিলেন,এখন কোন কোন দিন ২৫০জন ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু আশার কথা শয়ে শয়ে মানুষ আক্রান্ত হলেও মৃত্যু হচ্ছে হাতে গোনা কয়েকজন। এমনকি হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও খুব কম। সংক্রমিত হলেও মারাত্মক আকার ধারণ করছে না।
স্বাস্থ্যআধিকারিকদের বক্তব্য আসলে ইতিমধ্যেই মানুষ টিকা নেওয়ার পর এই রোগের হাত থেকে প্রাণশক্তি বাড়িয়ে ফেলেছে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি,গত উনিশ মাস ধরে রোগটি নিয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। এই সময়কার তথ্য বলছে এই সাফল্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে ভ্যাকসিনেই। আমরা সময়কাল কে দুটি ভাগে ভাগ করে দেখেছি,টিকাকরণের নয় মাসের তুলনায় টিকা পরবর্তী দশ মাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০শতাংশ বাড়লেও মৃত্যুর হার কমেছে ৫৪শতাংশ।
আগামীদিনে এই মৃত্যুর হার আরোও কমবে বলে আমাদের আশা।
টিকাকরণের দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মূল কারণ ‘আমার তো দুটি ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে,সুতরাং আমার কিছু হবে না। এই গা ছাড়া মনোভাব ও মাস্ক না পড়া ও কোবিধ বিধি না মানাই প্রধান কারণ বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। সেই সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সাবধান না হলে দোরগোড়ায় বিপদ দাঁড়িয়ে। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বেশ কিছুদেশ তৃতীয় ও মাল্টিভ্যারিয়েন্ট প্রজাতির ভাইরাসের সাথে লড়ছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.