কনকনে শীতে কাপছে রাজশাহী, জনজীবন অচল

স্টাফ রিপোর্টার: পৌষের  শুরুতেই রাজশাহীজুড়ে কনকনে শীতের আগমনী বার্তা জানান দিয়েছে। বইতে শুরু করেছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ।  বেড়েছে শীতের প্রকোপ। টানা তিনদিন রাজশাহীর তাপমাত্রা অবস্থান করছিলো এক অঙ্কে। আজ সূর্য উঠেনি । সূর্যের তাপ না থাকায় হাড় কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন নগরীর পথে-ঘাটে থাকা ছিন্নমূল মানুষ।

জরুরী কাজ ছাড়া ঘর  থেকে  বের হচ্ছেন  না কেউ। তবে চায়ের দোকান, পুরাতন পোশাকের দোকানে বেশ ভিড় করছেন মানুষ।

আজ শনিবার সকালে দৃষ্টিসীমা ২০০ মিটারের নিচে নেমে আসে। ভোর থেকে গাড়ি চলাচলও ছিল কম।  প্রধান সড়কগুলোতে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা  যায়।

আজ শনিবার রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আনোয়ারা বেগম জানান, শনিবার  সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর বেলা পৌনে বারোটার দিকে তা কমে দাঁড়ায় ৮৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসে।

তিনি বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ায়  শীত একটু বেশিই অনুভূত হচ্ছে। তবে তাপমাত্রা কমেনি। এদিন ভোর ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে গতকাল শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৬ দশমক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর গত বৃহস্পতিবার রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এটাই এ মৌসুমে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আর পাবনায় ওই দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামছুল হক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, এবছর শুরু থেকেই শীতের প্রকোপ কম। তবে মাঝ সময়ে এমন আবহাওয়া রবি শস্যের জন্য কাল হয়ে ওঠে। তাই কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সতর্ক রয়েছেন। এখন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পরিদর্শন করছেন। ফসলকে নিরাপদ রাখতে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর স্টাফ রিপোর্টার আমানুল্লাহ আমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.