কতটা ভয়াবহ শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহার

বিটিসি নিউজ হেল্থ ডেস্ক: বর্তমানে যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম মোবাইল ফোন। অথচ এটি ব্যবহারের কারণে নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে শিশুরা।

গবেষণা বলছে, মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি রয়েছে ক্যানসারের ঝুঁকি। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে একাকিত্ব থেকে এক সময় শিশুরা জড়িয়ে পড়তে পারে জঙ্গিবাদসহ নানা অপরাধের সঙ্গে।

মোবাইল থেকে ছড়িয়ে পড়া রেডিয়েশনের বিষয়টি অনেকে সামনে টেনে আনেন ৷ অতীতে বিভিন্ন গবেষণায় এটাও বলা হয়েছে যে, মোবাইল ফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার মস্তিষ্কে টিউমার সৃষ্টি করতে পারে৷

বিশেষজ্ঞরা শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় মোবাইল ফোনের জন্য এক শিশু তার মায়ের কাছে আকুতি করছে। একপর্যায়ে শিশুটি তার মাকে বলছে, ‘প্লিজ একবার দাও, জীবনে একবার দেখবো। আর বড় হয়ে দেখবো। আল্লাহ আমার মাকে কিছু বুদ্ধি দাও। আমি জীবনে একবারই তো দেখতে চাই।এমন আকুতি করে শিশুটি কান্নায় ভেঙে পড়ে। এ ধরনের আকুতিই প্রমাণ করে শিশুরা মোবাইলের প্রতি কতটা আসক্ত হয়ে পড়েছে।

মূলত ভিডিও গেমস বা নানা ধরনের ভিডিও দেখার জন্য মোবাইল ফোনের প্রতি শিশুদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। আবদার মেটাতে অনেকটা বাধ্য হয়েই সন্তানের হাতে মোবাইল তুলে দিচ্ছেন অভিভাবকরা।

গবেষণা বলছে, আমেরিকাতে শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে শতকরা ১.৮ জন আক্রান্ত হচ্ছে মস্তিস্ক ক্যানসারে। এছাড়া লিউকেমিয়া নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে শতকরা ১ জন শিশু মারা যাচ্ছে। চোখের জ্যোতি নষ্ট হওয়া, কানে কম শোনাসহ মারাত্মক মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে তারা।যুদ্ধের গেমস এবং নিষিদ্ধ পর্ন সাইটগুলোতে অবাধ যাতায়াতের কারণে প্রাপ্ত বয়সে নানা অপরাধ প্রবনতার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

এ প্রসঙ্গে মনোবিজ্ঞানী ডা. মোহিত কামাল বলছেন, পর্ন সাইটগুলোতে অবাধে প্রবেশ করলে শিশুদের ব্যক্তিত্বগুলোর মধ্যে একটা ভোগবাদী সত্ত্বা ঢুকে যায়। তখন সে নারীকে নারী হিসেবে দেখবে না। শিশুকাল থেকে নারীকে ভোগের বস্তু হিসেবে দেখবে। নারীও পুরুষকে ভোগের বস্তু হিসেবে দেখবে। এভাবে ভোগবাদী সত্ত্বা আমাদের সন্তানদের মধ্যে বসে যাচ্ছে। এটা মানব জীবনের জন্য খুবই একটা ক্ষতিকর বিষয়।  ভবিষ্যত প্রজন্ম যাতে নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারে সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই মনোবিজ্ঞানী।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.