কঠোর লকডাউনের ৮ম দিন : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ২য় দফায় বিশেষ লকডাউন


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি প্রতিরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের আজ ৮ম দিন চলছে। ২য় দফায় ৭দিন লকডাউন এর ১ম দিন আজ মঙ্গলবার। ৩১ মে দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেসব্রিফিং এ জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. মঞ্জুরুল হাফিজ আরও ৭দিন ৩১ মে দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বৃদ্ধির ঘোষণা দেন।
কয়েকদিনের লকডাউন জেলার মানুষ মেনে চলায় জেলায় সংক্রমনের হার নিম্ন মুখী বলছেন সিভিল সার্জন।
জেলায় কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন। মফস্বলে কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকরে মাঠে তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এবং জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে। লকডাউনে দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস ও ট্রেনসহ যানবাহন বন্ধ রয়েছে। মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। আম বাজারকরণ ও রপ্তানী কার্যক্রম লকডাউনের আওতামুক্ত রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ঘোষিত জেলায় বিশেষ কঠোর লকডাউন গত সোমবার রাত (২৫ মে) ১২টা থেকে শুরু হয়ে কঠোর লকডাউন চলে ৩১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত।
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বিটিসি নিউজকে জানান, জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাস ধরা পড়েছে ৭ জনের দেহে। আক্রান্তরা ভারতীয় ও স্থানীয় রয়েছে। এসব ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাস আক্রান্তদের আবারও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কয়েকদিনের লকডাউন জেলার মানুষ মেনে চলায় জেলায় সংক্রমনের হার নিম্ন মুখী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বর্তমানে করোনা রোগী চিকিৎসাধিন রয়েছে ৫৭৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় র‌্যাপিড টেস্ট করা হয়েছে ১৮৬টি জনের। এর মধ্যে ১৭ জনের পজেটিভ রেজাল্ট আসে। জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৮৩৭ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর ১ হাজার ১১৯ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এবং মারা গেছে ৩৭ জন।
ভারত থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে মোট ৮৬জন। তিনি আরও বলেন, জেলায় লকডাউন অনেকটায় কার্যকর হয়েছে, জেলার মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে। তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি মো: আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.