ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশিরা মানবাধিকারকে সম্মান করে : আইনমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশিরা মানবাধিকারকে সম্মান করে। এর বড় উদাহরণ হচ্ছে রোহিঙ্গাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয় দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, অবাধ ও উন্মুক্ত নির্বাচনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এবং এর মাধ্যমে মানবাধিকারকে রক্ষা করার বিষয়ে দৃঢ়সংকল্প সরকার।
মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘মানবাধিকার রক্ষা ও প্রসার: বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রদূত, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি রাষ্ট্রদূত অংশ নেন।
আমরা জনগণের সরকার উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আমরা প্রথমে শুনে থাকি, যা বলা হচ্ছে সেটি বুঝে থাকি এবং তারপরে সমস্যা সমাধান করে থাকি। এটি জনগণের প্রতি আমাদের দায়িত্ব এবং অবশ্যই এটি আমাদের দুর্বলতা নয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করা এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নিশ্চিত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার সরকার শুধু জনগণের ওপর নির্ভরশীল। কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ অথবা দেশীয় ষড়যন্ত্র আমাদের বিপথে নিতে পারবে না। মানবাধিকার রক্ষা ও প্রসার ঘটানো আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আমরা এটি করছি এবং করতে থাকবো।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.