এসিডি’র আয়োজনে ‘গণসচেতনতাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ করতে পারে’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

এসিডি প্রতিবেদক: গণসচেতনতাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ করতে পারে। পরিবার, শিক্ষক, রাজনৈতিক কর্মী, সমাজপতি, ধর্মীয় নেতা, সমাজপতি, আাইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আইনবিদ, সরকার এক কথায় সকল পেশা-শ্রেণির মানুষকে ইন্টারনেটের ঝুঁকি এবং নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সচেতন হতে হবে সংশ্লিষ্ট আইন সম্পর্কে। সচেতন জনগোষ্ঠীকে শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে এ বিষয়ে অধিকতর দায়িত্ব পালন করতে হবে-তা হলে শিশু শুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে-বলছিলেন পক্ষ দলের বক্তারা।

অন্যদিকে বিপক্ষ দলের বক্তারা বলছিলেন, শুধু গণসচেতনতা দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। শিশু বান্ধব আইন প্রণয়ন করতে হবে। আইনের প্রোয়োগ নিশিচত করতে হবে। সরকারকে এ বিষয়ে সার্বিক দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানকারীদের মানুষকে প্রযুক্তির ঝুঁকি ও এর থেকে রক্ষার উপায় সম্পর্কে প্রশিক্ষিত করার দায়িত্ব নিতে হবে। অপরাধীকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

অদ্য ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ শনিবার সকাল ১১.০০টায় এসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট- এসিডি কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘ইন্টারনেটের অপব্যবহার এবং ট্যুরিজমের মাধ্যমে শিশুর যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ’ প্রকল্পের উদ্যোগে শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস্ স্কুল অ্যান্ড কলেজে ‘গণসচেতনতাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ করতে পারে’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

বিতর্ক অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ ড. গোলাম মাওলার সভাপতিত্ব। কলেজের চারটি দল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। বিষয়ের পক্ষে বলেন শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস্ স্কুল এ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ-বিজ্ঞান দল এবং একাদশ বিজ্ঞান-‘খ’ দল। আর বিষয়ের বিপক্ষে বলেন একাদশ বিজ্ঞান-‘ক’ দল এবং বিজ্ঞান ও মানবিক দল। বিষয়ের পক্ষে বলেছেন দ্বাদশ-বিজ্ঞান এর বিতার্কিক আতিকা আব্বাসি (কথা), শিশির আহ্মদ এবং দলনেতা নুসরাত রুবাইয়া এবং একাদশ বিজ্ঞান -‘খ’ এর বিতার্কিক রাতুল হাসান মুন্না, রাফিয়া ইসলাম এবং দলনেতা নূর-আলম শেখ।

বিষয়ের বিপক্ষে বলেছেন একাদশ বিজ্ঞান-‘ক’ এর বিতার্কিক তনয় আহমেদ, সাবরিনা মমতাজ মুন্নি এবং দলনেতা তাহমিদুর রহমান আসিফ এবং বিজ্ঞান ও মানবিক এর আফিয়া আরব, রমজান আলী এবং দলনেতা রবিউল আওয়াল।
বিচারক হিসাবে ছিলেন ড. মোছাঃ এলিজা পারভীন, প্রভাষক, জীববিজ্ঞান বিভাগ এবং মোস্তাক মাহমুদ মারুফ, প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ, শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস্ স্কুল এ্যান্ড কলেজ, মো. আলী হোসেন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি। বিতর্ক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহঃ প্রধান শিক্ষক শাহনাজ বেগম।

বিষয়ের পক্ষে বলে বিতর্কে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ান হয় দ্বাদশ-বিজ্ঞান দল এবং একাদশ বিজ্ঞান-খ দল। রানার্সআপ হয় একাদশ-বিজ্ঞন ক দল। বিষয়ের পক্ষে বলে শেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন রাফিয়া আরব একাদশ-বিজ্ঞান ‘খ’ দল। চ্যাম্পিয়ান, রানার্সআপ দল এবং শেষ্ঠ বক্তাকে ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মানিত করা হয়। এছাড়াও প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী বিতার্কিককে এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি’র পক্ষ্য থেকে সনদ প্রদান করা হয়।

সভাপতি ড. গোলাম মাওলা বলেন বিতর্ক মানুষকে সমৃদ্ধ করে, মননশীল করে। যৌক্তিবাদী মানুষ কখনো অন্যায় করতে পারে না। আজকের এ বিতর্কের মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীরা সমৃদ্ধ হয়েছে, যারা শুনেছে তরাও উপকৃত হয়েছে।

আমাদের সকলকে অনলাইনে শিশু যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য তিনি এসিডিকে ধন্যবাদ জানান।

বার্তা প্রেরক মো. আলী হোসেন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, এসিডি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.