এল চাপোর ছেলে গ্রেফতার: সংঘর্ষে সেনাসহ নিহত-২৯

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কারাগারে থাকা মেক্সিকোর মাদকসম্রাট হোয়াকিন ‘এল চাপো’ গুজম্যানের ছেলে অভিদিও গুজম্যানকে গ্রেফতার ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী চক্র ও সেনাসদস্যের মধ্যকার এ সংঘর্ষে ১০জন সেনা সদস্যসহ ২৯ জন নিহত হয়েছে। আরও ৩৫ জন সেনা গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
মেক্সিকো সরকার শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) কার্টেল সদস্যদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের পর এই তথ্য জানায়। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
ওভিডিও গুজম্যানকে বৃহস্পতিবার ভোরে উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য সিনালোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে একটি সামরিক বিমানে মেক্সিকো সিটিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
সিনালোয়া কার্টেলের সদস্যরা এবং তাদের সহযোগীরা ওভিডিও গুজম্যানের গ্রেফতারের পরে, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে  লড়াইয়ে যুক্ত হয়। যানবাহনে আগুন লাগায় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলীয় রাজ্য জুড়ে রাস্তা অবরোধ করার পরে তাণ্ডব চালায়।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লুইস ক্রেসেনসিও সানদোভাল বলেন, কারাবন্দী মাদকসম্রাট এল চাপোর ৩২ বছর বয়সী ছেলে অভিদিওকে গত বৃহস্পতিবার দিনের শুরুর দিকে গ্রেফতার করে মেক্সিকোর নিরাপত্তা বাহিনী। এ নিয়ে কয়েক ঘণ্টা জ্বালাও-পোড়াও এবং মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্যদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
সানদোভাল আরও বলেন, অভিদিওকে যে বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে সরিয়ে আনা হয়েছে। এরপর তাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থাসম্পন্ন কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

000_336K7AB

সিনালোয়া রাজ্যে ‘সিনালোয়া কার্টেল’ নামে মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন এল চাপো। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর তার ছেলেরাই সেটার দায়িত্বে ছিলেন।
এদিকে, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর বলেছেন, ‘অভিদিওকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের তাৎক্ষণিক কোনো পরিকল্পনা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলার কাগজপত্র আদালতে উত্থাপন করা হবে। মেক্সিকোর বিচারকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন। এটা একটা প্রক্রিয়া… এটা কেবলই একটা অনুরোধ নয়। অভিদিওকে গ্রেপ্তারে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বাহিনী সাহায্য করেনি।’
এর আগে অভিদিওর বাবা এল চাপো যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থাসম্পন্ন একটি কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। তাকে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি নিউইয়র্কের একটি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
মাদক পাচারের অভিযোগে কয়েক বছর ধরে অভিদিওকে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে আসছে প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্র। তাকে গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ২০২১ সালে ঘোষণা দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অভিদিও এর আগে ২০১৯ সালেও একবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। কিন্তু গ্রেফতারের পর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে আরও প্রাণহানি এড়াতে প্রেসিডেন্ট লোপেজ ওব্রাদরের নির্দেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.