এবার বেঁকে বসলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আলভি

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ২১ দিনের মধ্যে জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন ডাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এমন সময়সীমা সামনে রেখেই উদ্বোধনী অধিবেশন আয়োজনের তোড়জোড় শুরু করেছে বর্তমান তত্ত্বাববধায়ক সরকার।
তবে সংসদীয়বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অধিবেশনের সারসংক্ষেপ পাঠালেও প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এখনো অধিবেশন ডাকেননি। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পিটিআই প্রথম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন দ্বিতীয় ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
তবে সরকার গঠনের মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কোনো দলই পায়নি। ফলে জোট গড়ে কেন্দ্রীয় সরকার আসার বিষয়ে একটি সমঝোতা করেছে পিপিপি ও পিএমএল-এন। চুক্তি অনুযায়ী, সংসদে পিএমএল-এনের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী পদে শাহবাজ শরিফকে সমর্থন দেবে পিপিপি। বিনিময়ে প্রেসিডেন্টসহ বেশ কয়েকটি সাংবিধানিক পদ নেবে দলটি। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিসভার অংশ হবে না পিপিপি।
পাকিস্তানের সংবিধানের ৯১ (২) ধারা অনুযায়ী, সাধারণ নির্বাচনের ২১ দিনের মধ্যে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করা বাধ্যতামূলক। হিসাব মতে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি এই সময়সীমা শেষ হবে। মেয়াদের শেষ দিনই নতুন সরকারের প্রথম অধিবেশন ডাকার তোড়জোড় শুরু করেছে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মিত্র আলভি বলেছেন, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইসিপি এখানো জাতীয় পরিষদের কিছু সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ দেয়নি। এ কারণে সংসদের নিম্নকক্ষ এখনো অসম্পূর্ণ। এসব আসন বরাদ্দ দেওয়া হলে তিনি সংসদ আহ্বান করবেন।
তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলছে, প্রেসিডেন্ট আলভি সারসংক্ষেপে স্বাক্ষর না করলেও আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন বসবে। তিনি স্বাক্ষর না করলেও সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ওই দিন সংসদ বসবে।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) সিনিয়র নেতা ইসহাক দার বলেছেন, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সই না করলে জাতীয় পরিষদের স্পিকার ২৯ ফেব্রুয়ারি অধিবেশন আহ্বান করতে পারবেন।
জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশনে বর্তমান স্পিকার নবনির্বাচিত এমপিদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এরপর বর্তমান সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.