পঞ্চগড়প্রতিনিধি: পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্ত:নগর একতা এক্সপ্রেস জয়পুরহাটের তিলকপুর স্টেশনে ঢোকার আগ মুহূর্তে ট্রেনটির একটি বগি লাইনচ্যুত হলে পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ঈশ্বরদি থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে বগিটি উদ্ধার করলে প্রায় ৬ ঘন্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
আজ শনিবার (১৬ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটির ৯ নম্বর বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে জয়পুরহাটের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে।
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল জোনের মহা-ব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বিটিসি নিউজকে জানান, একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটির একটি বগির স্প্রিং দুর্বল ছিল সেই সঙ্গে ল্যাট্রিনের কমোড ট্যাঙ্কি ভেঙ্গে লাইনের সঙ্গে ঘঁষা খাওয়াতে ওই বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। খবর পেয়ে রিলিফ ট্রেন এনে বগি লাইনে তুলে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক করা হয়েছে।
বর্তমানে জয়পুরহাট-ঢাকা, জয়পুরহাট-খুলনা ও রাজশাহী গামী সবরুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান রেলওয়ের এই কর্মকর্তা।
বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় আক্কেলপুর রেলস্টেশনে ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস, জয়পুরহাটে রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও সান্তাহারে পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ও চিলাহাটীগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন আটকা পরে দুর্ভোগে পড়েন ট্রেনযাত্রীরা।
খবর পেয়ে ঈশ্বরদি থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন এসে সাড়ে ৫ ঘন্টা চেষ্টার পর দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটিকে উদ্ধার করলে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল জোনের মহা-ব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার আরও বিটিসি নিউজকে বলেন, “ঈদের ছুটি শেষে ঢাকাগামী অতিরিক্ত যাত্রীদের ভারে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তাকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্য তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.