উ. কোরিয়াকে রাশিয়ার সহায়তা হবে ‘প্রত্যক্ষ উসকানি’: দ. কোরিয়া

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার উষ্ণ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তার বিনিময়ে মস্কো যদি পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্র কর্মসূচি বাড়াতে সাহায্য করে, তবে তা হবে সরাসরি উসকানি। এ ক্ষেত্রে চুপচাপ বসে থাকবে না সিউল ও তার মিত্ররা।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বুধবার ইউন বলেন, ‘এ ধরনের পরিস্থিতিতে কেবল ইউক্রেনে নয়, দক্ষিণ কোরিয়ার শান্তি ও নিরাপত্তাকেও হুমকিতে ফেলবে।’
চলতি মাসে মস্কো সফর করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এক সপ্তাহের লম্বা সফরে দুই দেশের সামরিক সহায়তা বাড়ানোর ঘোষণা আসে।    
ইউন বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি কেবল দক্ষিণ কোরিয়ার অস্তিত্বের প্রতি হুমকি নয়, এটা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের পাশাপাশি গোটা বিশ্বের জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব শান্তির চূড়ান্ত অভিভাবক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি স্থায়ী সদস্য অন্য একটি সার্বভৌম জাতিকে আক্রমণ করে যুদ্ধে লিপ্ত হবে এবং এমন একটি শাসনের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নেবে যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনকে স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে। এটা মানা যায় না।’
দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধে অনেকটা ক্লান্ত রাশিয়া। অস্ত্র ও গোলাবারুদও ফুরিয়ে আসছে মস্কোর। এই অবস্থায় পশ্চিমের চক্ষুশূল উত্তর কোরিয়ার কাছে অস্ত্র চাইছে ক্রেমলিন। বিনিময়ে পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা আশা করছে পিয়ংইয়ং। এই বিষয়টি সিউল ও ওয়াশিংটনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।  
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যদি উত্তর কোরিয়া তার প্রচলিত অস্ত্র দিয়ে রাশিয়াকে সমর্থন করার বিনিময়ে পরমাণু সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রযুক্তি পেয়ে যায় তবে তা হবে সরাসরি উসকানি। এটা কেবল ইউক্রেনের জন্য নয়, কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.