কলকাতা-হাওড়া (ভারত) প্রতিনিধি: সময় যতই এগোচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া নির্বাচন এবং উপ-নির্বাচন নিয়ে শাসক তৃণমূলের উদ্বেগ ততোই বেড়ে চলেছে। উদ্বেগটা জয়-পরাজয় নিয়ে নয়,কবে হবে নির্বাচন তাই নিয়ে। কারণ, জনগণের রায়ে নির্বাচিত হওয়ার জন্য যে ৬মাস সময়সীমা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে, তার মধ্যে ৩ মাস অতিক্রান্ত ইতিমধ্যেই। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত তাঁর দল। উপ-নির্বাচন এবং বকেয়া নির্বাচনের দাবী নিয়ে তাই আরও একবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলো তৃণমূল কংগ্রেস।
আজ শুক্রবার (০৬ আগস্ট) দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল দেখা করলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থবাবুর সঙ্গে ছিলেন আরও ৩ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং শশী পাঁজা।
তৃণমূলের প্রশ্ন, রাজ্যে করোনার দাপট যখন তুঙ্গে, তখন যদি ৮ দফায় বিধানসভা নির্বাচন হতে পয়ারে, তা হলে এখন করোনার প্রকোপ কমে যাওয়া সত্ত্বেও বকেয়া এবং উপ-নির্বাচনে অসুবিধেটা কোথায়? লক্ষ্যণীয়, গত জুলাইতেই দিল্লির নির্বাচন সদনে গিয়ে উপ-নির্বাচন দ্রুত সেরে ফেলার আর্জি জানিয়ে এসেছেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। তাঁরা জানিয়ে এসেছিলেন, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসন। প্রচারের জন্য স্বল্প সময় পেলেও অসুবিধে নেই। আসলে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই বকেয়া নির্বাচনের মুখোমুখি হতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য হয়তো আবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস।
উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা বাংলার ৫ কেন্দ্রে- ভবানীপুর, খড়দা, গোসাবা, শান্তিপুর এবং দিনহাটায়। নির্বাচন বকেয়া রয়েছে ২ কেন্দ্রে জঙ্গিপুর এবং শামসেরগঞ্জে। এই ৭ কেন্দ্রে ভোটের প্রস্তুতির প্রথম ধাপে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট চেকিং-এর কাজ সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী দপ্তর থেকে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.