উজিরপুরে শিক্ষার্থীর মায়ের উপর হামলাকারী ও হিন্দু বিদ্বেষী শিক্ষিকাকে পুরস্কৃত করল শিক্ষা কর্মকর্তা

উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুরে শিক্ষার্থীর মায়ের উপরে হামলাকারী ও হিন্দু বিদ্বেষী এবং সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজের বিষয় বিটিসি নিউজ সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হওয়া সেই আলোচিত শিক্ষিকা রোজী আক্তারকে শাস্তি না দিয়ে বরঞ্চ পুরস্কৃত করল শিক্ষা কর্মকর্তা।
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের দক্ষিণ কুড়লিয়া গ্রামের কুড়লিয়া মুন্সীরতাল্লুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদ্য যোগদানকৃত সহকারী শিক্ষিকা রোজী আক্তার গত ১৭ জুলাই সোমবার বিকেল সাঁড়ে ৩ টায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীর মা রোকসানা বেগম (৩৫) এর সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে এতে শিক্ষিকা রোজী ক্ষিপ্ত হয়ে ভারী বস্তু দিয়ে শিক্ষার্থীর মাকে মাথায় আঘাত করলে শিক্ষার্থী মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং ৫ ঘন্টা পরে তার জ্ঞান ফিরে আসে।
এই ঘটনায় এলাকাবাসী ঐ শিক্ষিকা কে ২ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। স্থানীয় কামাল মাস্টার ও হিরু মাস্টারের মধ্যস্থতায় অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয়রা। এ ছারা বর্তমান সরকারের আমলে ন্যাশনাল সার্ভিস এর মাধ্যমে এই শিক্ষিকা রোজী আক্তার কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী করার সুবাদে অনেক সহকর্মীদের উপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার উপরে।
উজিরপুরে স্থানীয় একাধিক সংবাদপত্রের সংবাদ কর্মীর ১৮ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, শিক্ষিকার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে, বিদ্যালয়ের সাবেকের সভাপতিসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের বক্তব্যে ও তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সে সংবাদ শিক্ষিকার দৃষ্টিগোচর হলে জাতীয় ও স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার একজন সিনিয়র সাংবাদিককে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
শিক্ষিকার অশ্লীল গালিগালাজের অডিও রেকর্ড সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন এর কাছে ১৯ জুলাই জমা দিলে, তিনি বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার শিল্পী আক্তারকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে। এমনকি ওই সাংবাদিক উপজেলা শিক্ষার কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও শিক্ষিকাকে কোন প্রকার শাস্তি না দিয়ে তাকে একটি ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা দেখে পশ্চিম কেশবকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে বদলি করা হয়।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার শিল্পী আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ওই শিক্ষিকাকে ক্লাস্টারের শেষ মাথায় মুসলিম অধ্যশীত এলাকায় বদলি করা হয়েছে, কারণ তিনি হিন্দু বিদ্বেষী।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আ: রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.