উজিরপুরে মসজিদ-মন্দিরের টিআর এর টাকা আত্মসাৎ করলেন মহিলা ইউপি সদস্য

উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুরে মসজিদ-মন্দিরের নামে টিআর এর টাকা আত্মসাৎ করে তোপের মুখে মহিলা ইউপি সদস্য দিপালী হালদার। উপজেলার জল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য দিপালী হালদার ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রথম পর্যায় ইউনিয়ন পরিষদের টিআর এর মাধ্যমে মুন্সিরতাল্লুক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নামে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং পশ্চিম কারফা শিশির হালদার বাড়ির কালী মন্দিরের নামে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ১৩০ টাকা গত ১৯ জুন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস থেকে চেক উত্তোলন করেন প্রকল্পের সভাপতি।

অফিসের সামনে থেকে দিপালী টাকা উঠিয়ে দেবার কথা বলে চেক ছিনিয়ে নিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে চেকে কাউন্টার সাক্ষর দিয়ে টাকা উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ নিয়ে এলাকায় বহু দেন দরবার করলে দুই প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা দেয়ার অঙ্গীকার করেন। বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্যা তোপের মুখে পড়লে গত ২৫ তারিখ মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় শহীদ স্মরণিকা মার্কেটের মাহাবুবুর রহমান মল্লিকের চেম্বারে মুন্সিরতাল্লুক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোফাজ্জেল হোসেন মল্লিক, মুক্তিযোদ্ধা জাকারিয়া মাষ্টার, শিক্ষক আসাদুজ্জামান হিরু, ফারুক হোসেন, যুবলীগ নেতা তোতা মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেন মন্টু মল্লিকসহ স্থানীয় শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে অবশেষে নগদ ২৫ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়। তবে পশ্চিম কারফা শিশির হালদার বাড়ির কালী মন্দিরের সভাপতি রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানান, তাকে মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়েছে। আর কোন টাকা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।

দিপালী হালদার স্থানীয় লোকদের কাছে জানিয়েছেন, টিআরের এই টাকা তুলতে অফিসে দিতে হয় ২০ হাজার, বাকী টাকা ইউনিয়ন পরিষদের সকল চেয়ারম্যান মেম্বরদের ভাগ দিতে হয়। এর চেয়ে বেশি টাকা দিতে পারবেন না তিনি। তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যা দিপালী সাংবাদিকদের মুঠোফোনে বলেন, আমি কোন টাকা তুলিনি, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না বলে এড়িয়ে যান। মুন্সিরতাল্লুক মসজিদ কমিটির সভাপতি ও প্রকল্পের সিপিসি মোফাজ্জেল হোসেন মল্লিক জানান, আমার কাছ থেকে চেক নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলে সব টাকা নিয়ে তার বাড়িতে চলে যান। অনেক দেন দরবার করে ২৫ হাজার টাকা আদায় করতে পেরেছি।

এ ব্যাপারে জল্লা ইউপি চেয়ারম্যান বেবী রানী দাস বিটিসি নিউজকে জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দুটি প্রকল্প দেয়া হয়েছিল। তবে এ টাকা থেকে কে কিভাবে নিয়েছে আমার জানা নেই।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুৃর রহমান বিটিসি নিউজকে জানান, ১৯ জুন ঐ দুই প্রকল্পের সভাপতি দুটি চেক নিয়েছেন পরে কাকে দিয়েছেন আমার জানা নেই। প্রকল্পে শতভাগ কাজ করতে হবে, দূর্নীতি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার জানান, দূর্নীতির কথা শুনেছি, অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আ: রহিম সরদার।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.