উজিরপুরে নববধুকে উত্তক্তের ঘটনায় প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলায় আহত-৩

উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুরে নববধুকে উত্তক্তের ঘটনায় প্রতিবাদ করায় বখাটেরা একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আহত ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের কুড়লিয়া গ্রামের সুভাষ মধুর মেয়ে মিঠু মধুকে প্রায়ই উত্তক্ত করত একই এলাকার মৃত নারায়ন মধুর ছেলে নির্মল মধু (২৩) ও নিরঞ্জন মধু (৩৫)। এমনকি ওই নারীর বিবাহের প্রস্তাব আসলে বিভিন্ন সময়ে বাধার সৃষ্টি করত। কোন উপায় না পেয়ে মিঠু মধুকে সাকরাল গ্রামে এনে ১৬ জুলাই তার বাবা বিবাহ দেয়। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই বখাটেরা।
এরই সূত্র ধরে আজ সোমবার (০২ আগস্ট) সকাল ৯টায় নববধু মিঠু মধু বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে সেখানে নারী লোভী বখাটে নির্মল মধু, অবিনাশ মধু, নিরঞ্জন মধু, রনজিত মধু মিলে দেশীয় অস্ত্রসন্ত্রে সজ্জিত হয়ে জোর পূর্বক তাকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়ার জন্য ধস্তাধস্তি শুরু করে। ডাক চিৎকার করলে তাকে এলোপাথাড়ি ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে।
এ সময় পিতা সুভাষ মধু ও তার ভাই সুকদেব মধু প্রতিবাদ করলে তাদেরকেও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সুভাষ মধু বাদী হয়ে ঘটনার দিন উজিরপুর মডেল থানায় উল্লেখ্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সুভাষ মধু বিটিসি নিউজকে জানান, আমরা গরীব অসহায় হওয়ায় ওই বখাটে সন্ত্রাসীরা প্রভাব খাটিয়ে আমার মেয়েকে উত্তক্ত করে আসছিল এবং বিয়ের পরেও তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিতে চায়। প্রতিবাদ করায় আমার মেয়েসহ পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করার জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এরপরও ক্ষান্ত হয়নি ওই সন্ত্রাসীর, বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে আমাদের। হুমকির মুখে আমি বর্তমানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি। অভিযুক্তরা বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ বিটিসি নিউজকে জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ওই উত্তক্তকারী বখাটেদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন আহত’র পরিবার।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.