উজিরপুরে দুই মামলার সাজা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কাউন্সিলর, ভোগান্তিতে জনগণ

 প্রতীকী ছবি
উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ খাইরুল আলমকে চেক ডিজঅনার এর পৃথক দুটি মামলায় ১০ মাস করে ২০ মাস এবং ৩১ লক্ষ টাকার অর্থদন্ডে দন্ডিত করে রায় ঘোষনা করেছেন বরিশাল ২য় দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইফতেখার আহমেদ।
গত ২৫ জানুয়ারী ২০২১ তারিখে পৃথক দুটি মামলায় এ রায় প্রদান করেন তিনি। রায় ও ভ‚ক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উজিরপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আঃ জব্বার রাড়ীর কাছ থেকে ২০০৮ সালে ব্যবসার উদ্দেশ্যে খাইরুল আলম নগদ ১৭ লক্ষ টাকা একই এলাকার সরোয়ার হোসেন খলিফার কাছ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা ব্যবসার উদ্দেশ্যে ধার গ্রহন করেন। উক্ত টাকা ফেরৎ দিতে না পারায় উভয়কে একটি করে ব্যাংকের চেক প্রদান করেন।
চেক দুটি ব্যাংকে জমা দিলে একাউন্টে টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্মকর্তা চেক দুটি ডিজঅনার করেন। এর প্রেক্ষিতে জব্বার রাড়ী ও সরোয়ার হোসেন খলিফা বরিশাল ২য় যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করলে মহামান্য আদালতের বিচারক ইফতেখার আহমেদ ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারী খাইরুল আলমের বিরুদ্ধে ২ মামলায় ২০ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৩১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। রায় ঘোষনার সময় আসামী খাইরুল আলম পলাতক থাকায় অদ্য পর্যন্ত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
জানা যায়, ২০২০ সালে ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনে উজিরপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে ২য় বারের মত কাউন্সিলর নির্বাচিত হন খাইরুল। এর পর থেকেই বিভিন্ন অর্থ আত্মসাতের কারণে গা ঢাকা দিতে থাকেন তিনি। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পালিয়ে থাকার কারণে সাধারণ জনগণ তাদের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিভিন্ন ওয়ারিশ সনদ, নাগরিক সনদ, জন্ম সনদ থেকে শুরু করে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বিভিন্ন ভাতা কার্যক্রম থেকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ জনগণের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, খাইরুল আলম পালিয়ে গোপনে বিভিন্ন সময়ে পৌরসভায় এসে তার বেতনভাতা তুলে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে ভ‚ক্তভোগী জব্বার রাড়ী জানান, কাউন্সিলর খাইরুল আলম টাকা আত্মসাৎ করে সাজা পরোয়ানা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। খাইরুল আলম মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, টাকা পয়সা জমা দিয়ে মিমাংশার চেষ্টা চলছে।
খাইরুল আলম পৌসভার সচিব ফারুক হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান, ২০২২ সালে জানুয়ারী মাসে সাজা সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। পৌর মেয়র মোঃ গিয়াস উদ্দিন বেপারীর মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ বিটিসি নিউজকে জানান, খাইরুল আলমকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণতি বিশ্বাস বিটিসি নিউজকে জানান, লিখিত ভাবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.