ঈশ্বরদী ৫০ শয্যার হাসপাতালে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ

ক্রাইম (পাবনারিপোর্টার: ঈশ্বরদী ৫০ শয্যার হাসপাতালে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ। গত ৪ঠা আগস্ট পর্যন্ত ৭ হাজার ৬শ ১০ জনকে টিকার ডোজ দেয়া হয়েছে। সরেজমিনে গত বছরের প্রায় ১২ লাখ করোনার প্রণোদনার টাকা আত্মসাৎ করার অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেড়িয়ে আসে দুর্নীতির থলেড় বিড়াল।
অপর এক অনুসন্ধানে খোঁজ খবর জানতে গিয়ে মোট ১৭৩ জন স্টাফ। এদের মধ্যে ৯জন ডাক্তার ২৬ জন নার্স বাকি অন্যান্য স্টাফ আছে। এই ৫০ শয্যার হাসপাতালের অভ্যান্তরে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও ব্যাপক লুটপাটের তথ্য উঠে আসে আমাদের অনুসন্ধান টিমের হাতে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় লুটপাট করা হয়েছে গত জুন ফাইনালের সরকারি প্রায় ১৬ লাখ টাকার ফার্নিচার বরাদ্দের অর্থ। অপরটি ১ লাখ ৪৪ হাজার হাম ক্যাম্পিং এর অর্থ। এসব লুটপাটের সাথে জড়িত রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প কর্মকর্তা আসমা খান ও তার সহযোগী হিসাবে এমটি ইপিআর মোঃ ইয়ার আলী ও পরিসংখ্যান নাজনীন আফরোজ। যা তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসবে সব বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক সুত্র।
ঈশ্বরদীর ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে ফার্নিচার ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকা ও ফার্নিচার মেরামত বাবদ ৬ লাখ টাকা মোট ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পায় সরকার থেকে। অথচ ঈশ্বরদী একটি অটোবি দোকান থেকে মাত্র ৪৪টি হাতোল অলা চেয়ার ৩৫০০’শ  টাকা দরে মোট ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার চেয়ার ক্রয় করেছেন ডাক্তার আসমা খান। সুত্র মতে এই চেয়ার ক্রয় বাবদ ৩ লাখ টাকার ভাউচার দাখিল করা হয়েছে। বাকি টাকা লুটপাট করা হয়েছে বলে সুত্রটি জানান।
অপর দিকে ১ লাখ ৪৪ হাজার হাম ক্যাম্পিং মাঠ পর্যায়ের টাকা থেকে মোটা অংকের টাকা কর্তন করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অপর একজন জানান।
অতি সম্প্রতি এসব ব্যাপারে হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার শামীম ও পরিসংখ্যান এর মধ্যে পাঁচ ওয়ার্ড চাওয়া কেন্দ্র করে ব্যাপক বাকবিতণ্ডা হয় বলে জানা যায়।
ফার্নিচার ক্রয় ও মেরামত ব্যাপারে স্টোর কিপার আবদুর রউফ এর সাথে কথা বললে তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন মালামাল ক্রয় করা হলে তা স্টোর কিপারে জমা হওয়ার কথা। অথচ এসব বিষয়ে আমার কোন কিছুই জানা নাই বা আমার দপ্তরে কোন চেয়ার আনা হয়নি। এমন ধরনের চেয়ার খাতায় লিপিবদ্ধ নাই।
১১৮ নং রুমে থাকা টিকার সুপার ভাইজার মোঃ ইয়ার আলীর কাছে ১ লাখ ৪৪ হাজার হাম ক্যাম্পিং এর টাকা কর্তন বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি হাত জোড় করে বলেন, আমি মাফ চাচ্ছি আমি এসব বিষয়ে কথা বলতে পারবো না।
এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসমা খানের সাথে কথা বলে তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, চেয়ার ক্রয় করেছি ৫০টি বাকী অর্থনীতির বিষয়ে আমি কোন কথা বলতে পারবো না।
উপরোক্ত বিষয়ে পাবনা সিভিল সার্জনের সাথে কথা বললে তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমি অল্প দিন হলে আসছি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানান।
এদিকে এই ৫০ শয্যা ঈশ্বরদী হাসপাতালে ২২/০২/২০১৬ সালে যোগদান অর্থাৎ প্রায় ৬ বছর যাবৎ একই স্থানে থাকার দায়ে তার ব্যাপক আধিপত্য রয়েছে। তার বাসা স্থানীয় হওয়ার কারণে তার নিজস্ব একটি প্রাইভেট “পলি” ক্লিনিক রয়েছে। তাই তিনি দুর্নীতিকে সরা জ্ঞান মনে করে এসমস্ত লুটপাটের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকছেন বলে সচেতন মহল মনে করছেন। ঈশ্বরদী বাসীর দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে উপরোক্ত বিষয় গুলো তদন্ত করে অবিলম্বে এই দুর্নীতি মাতা ডাক্তার আসমা খানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি করছেন।
উল্লেখ্য, গত বছর এই কর্মকর্তা আসমা খানের বিষয়ে দুর্নীতি ও লুটপাটের বিষয়ে জাতীয় দৈনিক যুগান্তরে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছিল।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ক্রাইম (পাবনারিপোর্টার মো: ময়নুল ইসলাম লাহিড়ী মিন্টু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.