ঈশ্বরদীর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে রেজিস্ট্রেশন বিহীন ভুইফোঁড় সংগঠনের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

ক্রাইম (পাবনা) রিপোর্টার: নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে জর্জরিত ঈশ্বরদীর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না ঈশ্বরদীর সাব-রেজিস্ট্রার এবং দলিল লেখক নামক ভুঁইফোড় সমিতি। এসব বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব।
ঘুষ বা মাসোহারা ছাড়া হয় না কোন কাজ। দলিল রেজিস্ট্রিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের একাধীক অভিযোগ রয়েছে এখানকার।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী কুখ্যাত রাজাকার পরিবারের এক সন্তানও রয়েছে এই সব অপকর্মের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এক সময়ের বিএনপির সক্রীয় সদস্য দলিল লেখক ভুঁইফোড় সমিতির একজন কর্তা ব্যাক্তি। যাকিনা আমাদের একাধীক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন নানা অনিয়মের চিত্র।
এছাড়া নানা অনিয়মের জর্জরিত ঈশ্বরদী সাব-রেজিষ্ট অফিস কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছা স্বাধীন মতে সরকার কক্তৃক নির্ধারিত অর্থের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে চলছে জমি রেজিস্ট্রির কাজ। আদায় করা হচ্ছে কয়েক গুণ অর্থ।যাকিনা সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে এই রেজিস্ট্রেশন বিহীন ভুইফোঁড় নামক সমিতির সিন্ডিকেট এর নেতারা।
উল্লেখ্য যে, সরকার নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন খরচ রেজিস্ট্রেশন ফি -১% .স্ট্যাম্প শুল্ক– ১.৫% স্থানীয় সরকার কর -৩% উৎস কর ১% এবং অন্যান্ন -১%। সর্বমোট ৭.৫% এবং স্ট্যাম্প হলফনামা, কোর্ট ফি, এন এন ফী সহ অন্যান্ন কিছু ফি সহ সর্বমোট ৮০০ টাকা। অথচ এর বিপরীতে ঈশ্বরদীতে রেজিস্ট্রিতে নেওয়া হচ্ছে সর্বনিম্ন ১১ থেকে ১৫ পার্সেন্ট পর্যন্ত। তাতে একটি দলিল বাবদ প্রায ৩০ হাজার টাকা অধিক অতিরিক্ত আদায় করে চলছে।
 এছাড়া সাব-রেজিস্ট্রি অফি সে ঘুস ছাড়া কোনো কাজ হয় না ।যে কোনো কাজের বিপরিতে খরচের নামে নির্লজ্জের মতো ঘুষ চেয়ে নেয়ার একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
দলিল লেখক সমিতির একজন নেতা বর্তমান হাইব্রিড আওয়ামী লীগের একটি অঙ্গ সংগঠনের নেতার বিরুধ্যে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ,সে মাঝদিয়া পশ্চিম খাঁ পাড়ার কুখ্যাত একটি রাজাকার বংশদের বংশধর। সরকারি ভাবে তা লিষ্ট ভুক্ত কুখ্যাত রাজাকার নাজিম উদ্দিন খাঁ ,বদর খাঁ লুতু খাঁ রহমান সহ ১৭ যুদ্ধাপরাধীর উত্তরসূরি সেই নেতা। বিএনপি দ্বিতীয় মেয়াদের শাসনামলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর উপর হামলামা মামলার সাজা প্রাপ্ত
প্রভাবশালী একজন আসামীর সক্রিয় ক্যাডার ছিলো এই হাইব্রিড নেতা সে এখন ঈশ্বরদীর প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একজনের অত্যান্ত আস্থাভাজন হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।
সম্প্রতি বর্তমান ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নান্টুর দুলাভাইকে বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর ছবি রাখার অপরাধে এই হাইব্রিড নেতা ও তার মাস্তান বাহিনী নিয়ে হামলা করে সপরিবারে বেধরক পিটিয়ে আহত করে এবং বাড়ি ভাঙচুর করেছিল।
অপরদিকে এসব অপকর্মের দায়ে সম্প্রতি একটি মামলাও দায়ের হয়েছে দুদকে ঔ সব অপকর্মের হোতাদের বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে ঈশ্বরদী সাব-রেজিষ্টার মোঃ আফছার আলীর দপ্তরে তার সাথে সাক্ষাৎকারে কথা বললে তিনি অকপটে বলেন এখানে কোন সমিতি নাই। থাকলেও আমার জানা নাই।
এ ব্যাপারে কথিত সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবের সাথে কথা বললে তিনি বলেন লাইসেন্স ধারী ৪৬ জন। সহকারী সহ মোট ১৩৯ জন মহুরী রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন প্রত্যাকে ৩ হাজার করে টাকা প্রতি সপ্তাহে পায়। তবে চলতি সপ্তাহে আমি পেয়েছি ১২ হাজার টাকা আমার সহকারী ৭ হাজার টাকা পেয়েছে। তিনি আরো বলেন আমরা জবি রেজিষ্ট্রি বাবদ ৮ পার্সেন্ট করে টাকা নিয়ে থাকি।
উপরোক্ত অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্হা গ্রহনের জন্য ভুক্তভোগীরা র‌্যাব ও ডিবি’র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ক্রাইম (পাবনারিপোর্টার মো: ময়নুল ইসলাম লাহিড়ী মিন্টু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.