ঈশ্বরগঞ্জে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা

ময়মনসিংহ ব্যুরোময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় এক গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অগ্নিদগ্ধ শিরিনা আক্তার (২৫) উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমারুলী গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৭/৮ মাস আগে কুর্শিপাড়া গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে শরিফ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শিরিনার। বিয়ের পর থেকে জামাই ও তার বাবা-মা, ভাই মিলে যৌতুকের টাকা এনে দিতে চাপ দিচ্ছিল।

বাবা গরিব। তাই অপারগতা জানায় শিরিনা আক্তার। এতে তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হতো। ১ জুন সকালে শরিফ তার স্ত্রীর কাছে যৌতুকের এক লাখ টাকা দাবি করে। টাকা আনা সম্ভব নয় জানালে ওই দিন বেলা সাড়ে বারোটার দিকে তাকে মারপিট করা হয়। এক পর্যায়ে শিরিনা আক্তারের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ঝলসে যায় শিরিনা আক্তারের শরীর।

পরে বাড়ির লোকজন শিরিনা আক্তারের বাবাকে খবর না দিয়ে পাঁচ দিন বাড়িতে রেখে হোমিও চিকিৎসা দেন। পরে খবর পেয়ে দিনমজুর বাবা আব্দুল হাই এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মেয়েকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার শরীরের প্রায় ৭০ ভাগ ঝলসে গেছে।

রায়ের বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবদুল মোতালিব চৌধুরী বিটিসি নিউজকে বলেন, শিরিনা আক্তারের জবানবন্দি গ্রহণের জন্য উপ পরিদর্শককে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখের আহম্মেদ সিদ্দিকী বিটিসি নিউজকে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি শিরিনাকে দেখতে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন এবং শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.