ইসরাইলি হামলা ঠেকাতে কতটা সক্ষম ইরান?

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইলে ইরানের নজিরবিহীন হামলার পর, তেহরানকেও মোক্ষম জবাব দিতে ছক কষছে তেল আবিব। কী কৌশলে কিংবা ইরানের কোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে নেতানিয়াহু বাহিনী? হামলা হলে, তা ঠেকাতে কতটা সক্ষম ইরান?- ঘুরেফিরে আসছে এসব প্রশ্নই।
ইসরাইলি ভূখণ্ডে ইরানের নজিরবিহীন হামলার জেরে যুদ্ধ উত্তেজনা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে। দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধামকিতে ঘোলাটে হচ্ছে পরিস্থিতি। আপাতদৃষ্টিতে ইরানের হামলা ছাড় দিলেও, ছেড়ে দেবে না ইসরাইল; এমন হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যদিও কিছুতেই যেন কুল-কিনারা করতে পারছে না তেল আবিব।
তবে পশ্চিমাসহ অন্য মিত্রদের পরামর্শের কোনো তোয়াক্কা না করে ইরানের ভূখন্ডে হামলা চালানো হবে বলে সাফ জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। তেহরানকে কুপোকাত করতে ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফন্দি আঁটতে ব্যস্ত ইসরাইলি প্রশাসন।
এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে ও ইরানের কোন লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে পারে নেতানিয়াহু বাহিনী? আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে আসছে, আকাশপথে পরমাণু স্থাপনা, পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র, বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ঘাঁটিসহ কৌশলগত অবকাঠামো ও অবস্থানগুলো সম্ভাব্য ইসরাইলি বিমান হামলার লক্ষ্য হতে পারে।
এছাড়া কৌশলগত প্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা কর্মসূচির আলোকে ইরান-ইসরাইলের পরবর্তী লড়াই সাইবার জগতে হতে পারে বলেও উঠে আসছে বিভিন্ন বিশ্লেষণে। ইরানের সামরিক-বেসামরিক বিভিন্ন ওয়েবসাইট আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে তেহরানের সহযোগী বিশেষ করে লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতিদের ওপর আঘাত হানতে পারে তেল আবিব। আর গাজায় আরও নির্মম হতে পারে দখলদার ইসরাইল।
এদিকে তেল আবিব যদি সত্যিই পাল্টা আগ্রাসন চালিয়েই বসে, তবে তেহরান কীভাবে এসব আক্রমণ ঠেকাবে সেটি নিয়েও চলছে আলোচনা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ইরানের দূরপাল্লার সমরাস্ত্রের সক্ষমতা এতটাই যা রীতিমতো দুঃশ্চিন্তায় ফেলেছে ইসরাইল ও পশ্চিমাদের। স্থানীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ তেহরানের আছে সর্বোচ্চ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বাভার–৩৭৩।
রাশিয়ার তৈরি সুখোই ও মিগ যুদ্ধবিমান ছাড়াও মার্কিন আদলে তৈরি সায়েকাহ ও কাওসারের মতো যুদ্ধবিমান আছে ইরানের হাতে। মধ্যম পাল্লার মধ্যে রয়েছে আরমান, সায়াদ ও খোরদাদ-১৫। ইসরাইলের সম্ভাব্য আক্রমনাত্মক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যাপক শক্তিশালী করে তোলার কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ইরানে হামলা চালালে ইসরাইলকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.