ইলহান ওমরের হঙ্কার, শুনবেন না ইসরাইলি রাষ্ট্রপতির ভাষণ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সব সময় সোচ্চার ভূমিকা রেখে আসছেন মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা ইলহান ওমর। তিনি বার বার ফিলিস্তিন সফর করতে চাইলেও ইসরাইলি বাধার কারণে যেতে পারেননি। ইসরাইলী বর্বরতার প্রতি ঘৃণা জানিয়ে তিনি অনেকবার বক্তব্য দিয়েছেন। তার সেই বক্তব্য ফিলিস্তিনিরা গ্রহণ করলেও ইসরাইল ক্ষুব্ধ প্রতিক্রয়া দেখিয়েছে।
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ইসরাইলি রাষ্ট্রপতি আইজ্যাক হারজগের ভাষণ বয়কট করবেন ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা ইলহান ওমর। তার এই সিদ্ধান্তের ফলে আরো কয়েকজন আইনপ্রণেতা একই কাজ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে হারজগের ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে।
ওমর ইলহান দীর্ঘ এক টুইটে বলেন, ‘যে দেশ আমাকে নিষিদ্ধ করেছে, রাশিদা তালিবকে তার দাদিকে দেখতে যেতে দেয়নি, সেই দেশের রাষ্ট্রপতির ভাষণ শোনার জন্য যৌথ অধিবেশনে আমি যেতে পারি না।’
ইসরাইল ২০১৯ সালে ইলহান এবং মার্কিন কংগ্রেসওম্যান রাশিদাকে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে দেয়নি।
ওই সময়ের ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার ফিলিস্তিনিদের নেতৃত্বাধীন বয়কট, ডিভেস্টমেন্ট অ্যান্ড স্যাঙ্কশন (বিডিএস) মুভমেন্টের ‌’সংশয়পূর্ণ প্ররোচনা ও প্রচারের’ জন্য এই দুই আইনপ্রণেতাকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
ইসরাইলি আইনে বিডিএস সমর্থকদের দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করাকে অনুমোদন করে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছিলেন।
রাশিদা ও ইলহান উভয়েই বিডিএস আন্দোলনের সোচ্চার সমর্থক। এই আন্দোলন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের মানবাধিকার লঙ্ঘন অবসানে চাপ দিতে চায়। এর ফলে ইসরাইলপন্থী লবি গ্রুপগুলো তাদের ওপর প্রত্যাঘাত করে। (সূত্র: মিডল ইস্ট আই)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.