ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গ্রেপ্তার চায় আর্জেন্টিনা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্টারপোলকে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদিকে গ্রেপ্তারের ‘রেড নোটিশ’ জারি করতে বলেছে আর্জেন্টিনা। ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাকিস্তানে অবস্থান করছিলেন, এরপর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে শ্রীলংকায় পৌঁছান তিনি।
যে কারণে মি. ওয়াহিদিকে গ্রেপ্তার করতে পাকিস্তান ও শ্রীলংকাকেও আহ্বান জানিয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশটি।
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতির বরাতে বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, দেশটির একটি আদালত ১৯৯৪ সালে দেশটির রাজধানী বুয়েনস আইরেসের একটি ইহুদি সম্প্রদায় কেন্দ্রে বোমা হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে জন্য ইরানকে দায়ী করেছে আর্জেন্টিনার আদালত।
৩০ বছর আগের ওই বোমা হামলায় ৮৫ জন নিহত ও তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন।
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ওই হামলার ঘটনায় আর্জেন্টিনা ইরানের মন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদিকে অভিযুক্ত করেছে। যিনি হামলার সময় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইসিআরজিসি) বিদেশি অপারেশন শাখার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ওয়াহিদি বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী, দাবি আর্জেন্টিনার।
তারা আরও বলছে, তথাকথিত ‘রেড নোটিশ’ সদস্য দেশগুলিতে পুলিশকে আন্তর্জাতিকভাবে ওয়ান্টেড পলাতকদের সম্পর্কে কেবল সতর্ক করে, এটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে না। যার জন্য রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে তাকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোল পুলিশকে বাধ্য করতে পারে না। গ্রেপ্তার করা হবে কিনা তা সদস্য দেশের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ প্রতিনিধিদল বুধবার শ্রীলংকায় পৌঁছেছে। শ্রীলংকায় পৌঁছানোর পর মি. ওয়াহিদিকে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যেতে দেখা যায়নি।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াহিদি মঙ্গলবার ইরানে ফিরে এসেছেন। তাদের প্রতিবেদনে রেড নোটিশের কোনো উল্লেখ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল আর্জেন্টিনার কোর্ট অব ক্যাসেশন – দেশের সর্বোচ্চ ফৌজদারি আদালত রায় দেয়, ১৯৯৪ সালে ইহুদি সম্প্রদায়ের ওপর ওই হামলার পরিকল্পনা করেছিল ইরান এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হামলাটি চালিয়েছিল।
আদালত এই হামলাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলেও অভিহিত করেছেন।
তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আর্জেন্টিনার আদালত ‘রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের’ জন্য ভিত্তিহীন এবং অপ্রমাণিত দাবি করছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.