ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল মাঠে রণক্ষেত্র নিহত বেড়ে ১৭৪, তদন্তের নির্দেশ প্রেসিডেন্টের

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের একটি ফুটবল মাঠে খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৪ জনে। আহত হন প্রায় দুইশ লোক। গত কয়েক দশকে ফুটবল মাঠে সংঘর্ষের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা বলা হচ্ছে এটিকে। রবিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আরেমা এফসি নামে একটি ফুটবল ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বী পার্সেবায়া সুরাবায়ার কাছে হেরে যাওয়ার পর ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। খেলায় আরেমাকে ৩-২ গোলে হারায় পেরসেবায়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দফায় দফায় কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। এতে পুরো মাঠ এবং এলাকায় বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নামে সেনা সদস্যরা।
ক্ষোভ জানিয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ লীগের সব ধরনের ম্যাচ স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জকো উইদোদো।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ছবি: রয়টার্স

আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া নিহত বাড়তে পারে।

পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ছবি: ইপিএ

শনিবার রাতে কানজুরুহান স্টেডিয়ামের এ ঘটনাকে দাঙ্গা বলছে পুলিশ। ইতোমধ্যে মর্মান্তিক এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএসএসআই)।
গত কয়েক দশকের মধ্যে কোনও ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সহিংসতা বলা হচ্ছে এটিকে। ১৯৬৪ সালে লিমাতে পেরু-আর্জেন্টিনা অলিম্পিক বাছাইপর্বের সময় পদদলিত হয়ে ৩২০ জন নিহত এবং হাজারো মানুষ আহত হন।
১৯৮৫ সালে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের হেইসেল স্টেডিয়ামে নিহত হন ৩৯ এবং আহত ৬০০ জন। (সূত্র: বিবিসি)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.