বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ম্যাচ যেভাবে শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তাতে ড্রই মনে হচ্ছিল সবচেয়ে সম্ভাব্য ফল। কিন্তু শেষ সময়ে একটি ফাউলের ঘটনায় সবকিছু বদলে গেল। পেনাল্টি পেয়ে কাজে লাগাতে ভুল করলেন না দমিনিক সোবোসলাই। ভীষণ কঠিন সময়ে ইন্টার মিলানকে তাদের মাঠে হারিয়ে দিল লিভারপুল।
সান সিরোয় মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে জিতেছে সফরকারীরা।
ঘরোয়া লিগে দুই দলের যাত্রা চলছে দুইরকম। ইন্টার মিলান আছে সেরি আর শিরোপা লড়াইয়ে, আর লিভারপুল একের পর এক বাজে পারফরম্যান্সে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা লড়াই থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আবার দুই দলই হেরেছিল গত রাউন্ডে। ইন্টার পারল না সেরি আর পারফরম্যান্স এখানে টেনে নিতে। বরং কষ্টের জয়ে লিভারপুল দিল ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত।
ছয় ম্যাচে চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে উঠেছে লিভারপুল। সমান পয়েন্ট নিয়ে দুই ধাপ পিছিয়ে পাঁচ নম্বরে আছে ইন্টার মিলান।
তাদের সমান ১২ পয়েন্ট আছে আরও তিন দলের।
ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলই ছিল বেশ সতর্ক। ঘর সামলে রাখাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। তাতে প্রধমার্ধে খেলায় সেভাবে গতি ফেরেনি। উল্টো চোটে দুই খেলোয়াড়কে হারায় ইন্টার; একাদশ মিনিটে তুর্কি মিডফিল্ডার হাকান কালহানোগ্লু ও ৩১তম মিনিটে ইতালিয়ান ডিফেন্ডার ফ্রান্সেসকো আচের্বি মাঠ ছেড়ে যান।
শুরুর দিকে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো আক্রমণ হয়নি, বরং কয়েকবার ফাউলের বাঁশি বাজাতে হয় রেফারিকে।
ত্রয়োদশ মিনিটে তেমনই এক ঘটনায় বিপদে পড়তে পারতেন ইন্টারের ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেস। অ্যান্ডি রবার্টসনকে ছুটে গিয়ে বিপজ্জনক ফাউল করেন তিনি। তবে ভাগ্য ভালো বলতে হবে দুজনেরই; কিছুক্ষণ চিকিৎসা নিয়ে উঠে দাঁড়ান রবার্টসন, মার্তিনেসও হলুদ কার্ডে পার পেয়ে যান।
৩২তম মিনিটে খুব কাছ থেকে হেড করেন ইব্রাহিমা কোনাতে, মার্তিনেস বল কোনোমতে পা দিয়ে ফেরালেও, ততক্ষণে বল গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছিল।
যদিও গোলের বাঁশি বাজেনি। ভিএআর যাচাইয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর, মনিটরে দেখে হ্যান্ডবলের সিদ্ধান্ত জানান রেফারি। কোনাতে হেড করার আগে, ভার্জিল ফন ডাইকের হেডে বল তাদেরই সতীর্থ উগো একিটিকের হাতে লেগেছিল।
প্রথমার্ধের সাত মিনিট যোগ করা সময়ের শেষদিকে গিয়ে সুবর্ণ সুযোগ পান মার্তিনেস। কিন্তু তার হেড দারুণ দৃঢ়তায় ঠেকিয়ে দেন আলিসন।
দ্বিতীয়ার্ধে ধীরে ধীরে দুই দলের খেলায় কিছুটা গতি বাড়ে। তবে, পাল্টা আক্রমণের কৌশলেই খেলতে থাকে তারা। কয়েক মিনিটের মধ্যে উভয় পক্ষ দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করে ডেডলক ভাঙার, যদিও সাফল্য পায়নি কেউই।
৮০তম মিনিটে ইন্টারের রক্ষণ ভেঙে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন কনর ব্র্যাডলি। কিন্তু দুরূহ কোণ থেকে শটে ইয়ান সমেরকে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি।
এর কিছুক্ষণ পরই ম্যাচ নতুন মোড় নেয়। ৮৬তম মিনিটে ডি-বক্সে ফ্লোহিয়ান ভিয়েৎসকে পেছন থেকে টেনে ফেলে দেন ডিফেন্ডার আলেস্সান্দ্রো বাস্তোনি। ভিএআর মনিটরে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে ব্যবধান গড়ে দেন হাঙ্গেরির মিডফিল্ডার সোবোসলাই।
একই সময় শুরু আরেক ম্যাচে চেলসিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আতালান্তা। ছয় ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি। ১০ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে নেমে গেছে চেলসি।
দিনের আগের ম্যাচে স্পোর্তিংয়ে ৩-১ গোলে হারানো বায়ার্ন মিউনিখ ১৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুই নম্বরে। এক ম্যাচ কম খেলা আর্সেনাল সমান পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। #

















