ইউনেসকোকে ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক স্থাপনা রক্ষার আহ্বান হামাসের

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের একের পর এক বোমা হামলায় ফিলিস্তিনের অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। এসব স্থাপনা রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে ইউনেসকোকে আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
সম্প্রতি ইসরায়েলের বোমা হামলায় গাজার সবচেয়ে বড় ও মধ্যযুগীয় ওমারি মসজিদ ধ্বংস হয়ে যায়। বর্তমানে শুধু মসজিদের মিনারটি অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি অন্তত পঞ্চদশ শতক থেকে খ্রিষ্টান ও মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র স্থান ছিল। শুক্রবার বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের পোস্ট করা ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, গাজার সবচেয়ে বড় ও প্রাচীনতম ওমারি মসজিদটি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এখন শুধু মিনারটি দেখা যাচ্ছে।
গাজার পর্যটন ও প্রত্নতাত্ত্বিক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০৪টি মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরায়েল। দুই মাস ধরে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে তীব্র সংঘাত চলছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে ঢুকে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এরপরই গাজায় পালটা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত চলছেই। দুই পক্ষের লড়াই থামার কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে ৩২০ জন ইসরায়েলি সেনা সদস্য এবং ৫৯ জন ইসরায়েলি পুলিশ ছিল।
এছাড়া আরো প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে বেশির ভাগকেই এরই মধ্যেই মুক্তি দিয়েছে হামাস। তবে গত কয়েক দশকের মধ্যে এবারের হামলায় বর্বরতার সব স্তর পার করে ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামাসের হামলার পালটা পদক্ষেপ হিসেবে গাজাকে প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস করার মিশনে নেমেছে দখলদাররা। প্রায় প্রতিদিনই গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানো হচ্ছে। হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে নিরীহ ফিলিস্তিনি নারী, শিশু এবং পুরুষদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ৭ হাজার জনই শিশু। এছাড়া আরো ১৯ লাখের বেশি মানুষ পুরোপুরি বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.