আ’ লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ভাংচুর, আহত-১২

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুপক্ষেরই ১২জন আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে ৫-৬টি দোকান ও একটি বাড়ি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার করমুল্যা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহতরা হলেন: আব্দুল হক (৪৮), সিরাজ মাঝি (৫৫), আব্দুর রহমান (৫০), কামাল উদ্দিন (৩২), জাহাঙ্গীর আলম (৩৭), আব্দুর রহমান (৪০), দেলোয়ার হোসেন (২৫), সালাউদ্দিন (১৯), শহিদ উল্যাহ (৪০), লিটন হোসেন (২৭) ও সিরাজ মিয়াসহ (৪৫)। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এওজবালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মান্নান এবং পাশ্ববর্তী কালাদরাপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল প্রকাশের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আগে থেকেই বিরোধ চলছিল। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে আগেও একাধিকবার ঝামেলা হয়েছে। এসব বিরোধের জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে করমুল্যা বাজারে দুপক্ষের লোকজন বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।

একপর্যায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বাজারের ৫-৬টি দোকান ভাঙচুর ও একটি বাড়ি ভাংচুর করা হয়। আহ হন ১২ জন।

ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ‘কোনো প্রকার উস্কানি ছাড়া বাবুল প্রকাশের লোকজন আল আমিন ও রাজুর নেতৃত্বে করমুল্যা বাজারে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি পিটিয়ে অনেককে আহত করেছে। তারা হক সাহেবের দোকানসহ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে। এ ছাড়া, সিরাজ মাঝির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।’

এ বিষয়ে বাবুল প্রকাশের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইমদাদুল হক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নোয়াখালী প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.