বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তালেবান সরকারের প্রতি কী মনোভাব নেয়া হবে, তা বুঝতে পারছে না জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। এনিয়ে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মতামত চায় জাতিসংঘ। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে জার্মাই সংবাদমাধ্যম ডয়চেভেলে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতিতে একটা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কী করে আফগানিস্তান নিয়ে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে বাইরে থেকে সুপারিশ চায় পরিষদ। তালেবান যেভাবে নারীদের অধিকার খর্ব করছে সেটাও মাথায় রেখে সুপারিশ দিতে হবে।
জাতিসংঘে আমিরাতের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, ‘আফগানিস্তানের কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে পরিষদ সব দিক বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাধারণ মনোভাব নিয়ে আফগানিস্তানকে দেখা ঠিক হবে না। তাই নতুন চিন্তাভাবনা দরকার। সেজন্যই নিরাপত্তা পরিষদ বাইরে থেকে সুপারিশ চাইছে।’
আমিরাত ও জাপান মিলে এই প্রস্তাব এনেছিল। প্রস্তাবে বলা হয়েছে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল গুতেরেস যেন পরিস্থিতি বিচার বিবেচনা করার জন্য একটা প্যানেল তৈরি করেন। সেখানে নিরপেক্ষ মানুষেরা থাকবেন।
আমিরাতের দূতের মতে, ‘২০২১ থেকে আফগানিস্তান খুবই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, এভাবে পরিস্থিতি যাচাই করে সুপারিশ পেলে আমাদের সুবিধা হবে। তখন নিরাপত্তা পরিষদ একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারবে।’
তালেবান নিয়ে সমস্যা
২০২১ সালে তালেবান যখন ক্ষমতা দখল করলো, তখন অনেকে ভেবেছিলেন, এবার তারা অন্যরকমভাবে শাসন করবে। তালেবানও প্রথম দিকে ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, তারা আগের মতো কট্টর পন্থা নিয়ে চলবে না।
কিন্তু যত দিন গেছে, তত দেখা গেছে, তারা ষষ্ঠ শ্রেণির পর মেয়েদেরপড়াশুনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মেয়েদের চাকরি করতে দেয়া হচ্ছে না। তাদের পার্ক, জিমের মতো জায়গায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।
মেয়েরা কোনো পুরুষ আত্মীয়ের সঙ্গে মুখ ঢেকে তবেই বাড়ি থেকে বেরোতে পারেন।
নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে মানবিক সমস্যা, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সমস্যা, নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ, মাদক, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, প্রশাসনের উন্নতি করার মতো বিষয়গুলি নিয়েও সুপারিশ চাওয়া হবে।
ইউক্রেন-সহ বিভিন্ন বিষয়ে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ একমত হতে পারেনি। কিন্তু এবার আফগানিস্তান নিয়ে তারা একমত হতে পেরেছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.