আফগানিস্তানে ভূমিকম্প: খাদ্য-আশ্রয়ের তীব্র সংকট

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর যারা বেঁচে আছেন তারা বলছেন, তাদের খাওয়ার কিছু নেই। থাকার জায়গাও নেই বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে কলেরা রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে দেশটিতে। দুই দশকের মধ্যে এটাই আফগানিস্তানের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত দেশটির জন্য মানবিক অর্থ সহায়তা পেতে জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় তালেবান বাধা দিচ্ছে। এমনই অভিযোগ করেছেন বৈশ্বিক সংস্থাটির ত্রাণবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফথস। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
পাকতিকা প্রদেশে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকার অনেক মানুষ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়িঘরে তাদের নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজ করছেন। তারা বেঁচে আছেন কিনা তা নিশ্চিত হতে চাইছেন।
আঘা জান নামে একজন ব্যক্তি তার ভেঙে যাওয়া বাড়ির আবর্জনা সরিয়ে দেখছেন সেখানে কিছু আছে কিনা। তার চোখে পানি। তিনি বলেন, এটা আমার ছেলের জুতা। জুতার ওপরের ময়লা পরিস্কার করতে করতে বলেন, তার তিন শিশু সন্তান এবং দু’জন স্ত্রী- সবাই নিহত হয়েছেন। ওই রাতে সবাই ঘুমাচ্ছিলেন।
বুধবার যখন ভূমিকম্পটি হয় তখন আঘা জান দৌড়ে যান ঘরের মধ্যে, কিন্তু ততক্ষণে সবকিছু ধ্বংসস্তূপের নিচে। পাকতিকা প্রদেশে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে বারমল জেলা অন্যতম।
এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে ১ হাজার ১৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে আর আহত হয়েছে ৩ হাজারের মতো মানুষ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.