‘আফগানিস্তানের ‘আবর্জনা’ সরাতে পাকিস্তানকে কার্যকর মনে করে যুক্তরাষ্ট্র’

(আফগানিস্তানের ‘আবর্জনা’ সরাতে পাকিস্তানকে কার্যকর মনে করে যুক্তরাষ্ট্র–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘ ২০ বছরের আফগান যুদ্ধে মার্কিন বাহিনীর রেখে যাওয়া ‘আবর্জনা’ সরানোর ক্ষেত্রেই কেবল পাকিস্তানকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। ইসলামাবাদে নিজ বাড়িতে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ অভিযোগ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানে সরকারি বাহিনী ও তালেবানদের মধ্যকার সহিংসতা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমতাবস্থায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির সঙ্গে আফগান সরকারের আলোচনা স্থগিত হয়ে আছে। তাই ওয়াশিংটন পাকিস্তানকে তালেবানদের ওপর তাদের প্রভাব ব্যবহার করে অধরা শান্তি চুক্তি সম্পন্নে সাহায্য করতে আহ্বান জানিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২০ বছরের আফগান যুদ্ধে মার্কিন বাহিনীর রেখে যাওয়া ‘আবর্জনা’ সরানোর ক্ষেত্রেই কেবল পাকিস্তানকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে তাদের দীর্ঘ ২০ বছরের সামরিক মিশন শেষ হচ্ছে। সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে তালেবানদের আগ্রাসন নতুন করে শুরু হয়। তারা এখন পর্যন্ত ৯টি প্রাদেশিক রাজধানী ও বিভিন্ন অঞ্চল দখল করেছে। মার্কিন গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রাজধানী কাবুল বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে গোষ্ঠীটি। যদি সরকারি বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারে তাহলে ৯০ দিনের মধ্যে অঞ্চলটির পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে তারা।
অন্যদিকে, আশরাফ গনির নেতৃত্বাধীন আফগান সরকার ও বেশ কয়েকটি পশ্চিমা সরকার মনে করে, পাকিস্তানের সমর্থনের কারণেই যুদ্ধের আবহাওয়া সৃষ্টি করছে তালেবান।
সেই প্রেক্ষিতে ইমরান খান বলেন, ইসলামাবাদ আফগানিস্তানের পক্ষ নেয়নি। আমি মনে করি, আমেরিকানরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ভারত এখন তাদের কৌশলগত অংশীদার। এ কারণেই এখন পাকিস্তানের সঙ্গে আচরণ করার একটি ভিন্ন উপায় পেয়েছে তারা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে একটি রাজনৈতিক নিষ্পত্তি কঠিন বলেই মনে হচ্ছে, যোগ করেন তিনি। বলেন, তালেবান নেতারা যখন পাকিস্তান সফরে এসেছিলেন তখন তাদের একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করেন তিনি।
‘জবাবে গোষ্ঠীটি শর্ত দিয়ে জানিয়েছিল, যতক্ষণ ক্ষমতায় আশরাফ গনি আছেন, ততক্ষণ তারা আফগান সরকারের সঙ্গে কথা বলবে না।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.