BTC News | বিটিসি নিউজ

আজ- মঙ্গলবার, ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আজ- ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আদালতের রায় উপেক্ষিত: আদমদীঘিতে শশ্মানে ব্যবহৃত জলাশয় জবর দখলের অভিযোগ

আদালতের রায় উপেক্ষিত: আদমদীঘিতে শশ্মানে ব্যবহৃত জলাশয় জবর দখলের অভিযোগ

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার পানলা মৌজায় অবস্থিত জমিদারী আমল থেকে সনাতনী ধর্মাম্বলীদের মৃত দেহ দাহ করার শ্মশানে ব্যবহৃত জলাশয় জনৈক ব্যক্তি দখল করা সংক্রান্ত আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি জবর দখল অব্যাহত রাখায় কয়েক গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে তীব্র অসন্তোষ ও চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানাযায়, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার পানলা মৌজায় জমিদারী প্রথা আমল থেকে পানলা, কুসুম্বী, সুদিন গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মৃত দেহ দাহ বা সৎকার করার জন্য.৮৮শতক জমির উপড় কালি মন্দির ও চিতা স্থাপন করে সেখানে মৃত ব্যক্তিদের দাহ ও তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম করার কাজে ব্যবহৃত একটি জলাশয় রয়েছে। ওই জলাশয় ব্যতিত .৩৭ শতক জলাশয় খাস ক তফশিলভুক্ত খতিয়ানে অন্তভুক্ত।

জলাশয়টি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ব্যবহার করে আসছিল। ২০১৬ সালে পাশর্^বর্তী গ্রামের জনৈক জিল্লুর রহমান পুকুরে দক্ষিনে অধাংশ অথাৎ .৩৭ শতক জলাশয় তার নিজের কবলা দাবী করে জোরপুর্বক জবর দখন করেন। এ নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে জনৈক জিল্লুর রহমানের বিবাদ সৃষ্টি হয়।

এদিকে জিল্লুর রহমান একই সালে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহি অফিসার, সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও শ্মশান কমিটির সভাপতি সনাতন চন্দ্র প্রামানিক সহ ৬জনকে বিবাদি করে বগুড়া জেলা জজ আদালতে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন।

আদালত ২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারী শুনানীঅন্তে নালিসী সম্পত্তিটি সিএস ও এমআরআর বাদির নামে না থাকা এবং সব শেষ হালনাগাদ সংযুক্ত না থাকায় বাদির আনিত মামলাটি খারিজের আদেশ দেন। এরপরও উক্ত জিল্লুর রহমান আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে জলাশয়ের অর্ধেক অংশ দখল অব্যাহত রাখেন। বাধ্য হয়ে বিবাদীদের পক্ষে বকুল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি হাই কোটে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। যার নং ১৩৭৪৮/২৫ তারিখ ২০২৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর।

উক্ত রিটের প্রেক্ষিতে হাই কোট বিভাগ নালিশী সম্পত্তি কেউ নামজারী করে থাকলে তার সমস্ত নামজারী বাতিল এবং ৬০ কার্য দিবসের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য বগুড়া জেলা কমিশনারকে আদেশ প্রদান করেন।

এদিকে আদালতের সকল আদেশকে উপেক্ষা করে অদ্যবদি জলাশয়টি দখল মুক্ত না হওয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ ও চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে জলাশয় দখলমুক্ত করার দাবী জানান। জিল্লুর রহমান বিবাদমান ওই পুকুরের অংশটি তার নিজের বলে দাবী করেন। #

এইরকম আরও খবর

সর্বশেষ খবর

ব্রেকিং নিউজ