আদমদীঘিতে যৌতুকের দাবীতে গৃহবধুকে নির্যাতন স্বামী সতীনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে ৫ লক্ষাধিক টাকা যৌতুক দাবীতে এক সন্তানের জননীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।
আদমদীঘির তালশন গ্রামের এক সন্তানের জননী মল্লিকা রানী মালী বাদি হয়ে তার স্বামী, সতিন,স্বশুড়সহ ৬জনের বিরুদ্ধে গত ২১ নভেম্বর বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২, এ এই মামলা দায়ের করেন।
আদালত বাদির অভিযোগ আমলে নিয়ে তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদমদীঘি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরন করেছেন।
মামলার বিবরণে জানাযায়, আদমদীঘির তালশন গ্রামের সনাতন ধর্মীয় সুরেশ চন্দ্র মালীর মেয়ে মল্লিকা রানীর সাথে হিন্দুধর্মীয় মতে ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার গোপালপুর বাজারের বকুল কুমার দাসের ছেলে সমর কুমারের রেজিষ্ট্রিমুলে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
তাদের অরুপ কুমার বাধন নামের ৫ বছর বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর তাদের সংসার সুখের হলেও বিভিন্ন সময় মোটা অংকের যৌতুক দাবীতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এক পর্যায়ে স্বামী সমর কুমার দাস সন্তানসহ স্ত্রী মল্লিকা রানীকে এক বস্ত্রে পিত্রালয় তালশন গ্রামে পাঠিয়ে দেয়।
এরপর গত ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর তার স্বামীসহ অপর আসামীরা আদমদীঘির তালশন গ্রামে আসেন এবং সংসার ভালভাবে করার জন্য মল্লিকার মায়ের নিকট পুনরায় যৌতুক বাবদ ৫ লাখ টাকা দাবী করে। ওই যৌতুকের টাকা প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদিনীকে মারপিট করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।
পরে পরশিরা বাদিনী আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর বাদিনীকে আপোষের প্রস্তাব দিলেও তালবাহানা করে। ফলে নিরুপায় হয়ে মল্লিকা রানী তার স্বামী সমর কুমার দাস, সতিন সুমি রানী, স্বশুড় বকুল দাস, স্বাশুড়ি নন্দরানী, ভাসুর বিশ্বজিত দাস ও কাঞ্চন কুমার দাসকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.